বার্তা লাইভ ২৪ ডট কম, ঢাকা : অসত্য’ বক্তব্য প্রত্যাহার করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বুধবার ডাকযোগে ও কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে এই লিগ্যাল নোটিশ তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারেকের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
নোটিশে বলা হয়েছে, ২৮ দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। তা না হলে ‘যথাযথ আদালতে’ দেওয়ানী বা ফৌজদারি কার্যবিধিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত ১ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য উদ্ধৃত করে লিগ্যাল নোটিসে বলা হয়, “খালেদা জিয়া তার ছেলেরা নাকি সৎ জীবনযাপন করে বলেছেন। যেদিন তিনি এ কথা বললেন, সেদিনই তার ছেলেদের মানিন্ডারিংয়ের টাকা দেশে ফেরত এসেছে। এ মামলা আওয়ামী লীগ সরকার করেনি। মামলা হয়েছে আমেরিকার কোর্টে। এই এলাকার অনেকেই প্রবাসে থাকেন। আপনারা একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন, তার ছেলে লন্ডনের কোন এলাকায় থাকে। কি গাড়ি ব্যবহার করে। কি রকম বিলাসবহুল জীবন যাপন করছে। কোথা থেকে এ টাকা আসে। দুর্নীতি ছাড়া এতো টাকা কোথা থেকে আসবে।”
“তার ছেলেরা বিদেশে রেস্টুরেন্ট করেছে। বাড়ি করছে। দামি গাড়ি কিনছে। ভাঙা সুটকেস থেকে কি এসব টাকা বের হচ্ছে? বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে মানিলন্ডারিং করে এসব টাকা পাচার করে এখন লন্ডনে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে তারেক।”
গণমাধ্যমে এসব বক্তব্য ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, “এসব প্রতিবেদন পড়ে মনে হয়েছে, আপনি (শেখ হাসিনা) আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে মানহানিমূলক বক্তব্য এবং অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। তার সুনাম ক্ষুণ্নের উদ্দেশ্যে এই বক্তব্য দেয়া হয়েছে।”
নোটিসে বলা হয়, তারেক অর্থ পাচার বা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক তার কোনো টাকা ফেরত আনেনি। যুক্তরাষ্ট্রেও তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে কোনো মামলা হয়নি। আর লন্ডনে তার কোনো রেস্তোরাঁ বা বাড়ি নেই। কেবল চিকিৎসার জন্যই তিনি সেখানে অবস্থান করছেন এবং খুবই সাধারণ জীবন যাপন করছেন।
## জয় /২/১/২০১৩