হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম,টেকনাফ :
টেকনাফের বাহারছড়া সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে পাথর উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। সমূদ্র উপকূলবর্তী ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া, নোয়াখালী , বড়ডেইল, রাজারছড়া,দরগাহছড়া, হাতিয়ার ঘোনা, মিঠাপানির ছড়া এলাকার খাল পাহাড়ী ছড়া এবং বনাঞ্চল থেকে পাথর উত্তোলন হচ্ছে ব্যাপকভাবে। উক্ত এলাকার চিহ্নিত পাথর ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, পাথর সিন্ডিকেট অত্যন্ত বেপরোয়াভাবে তাদের ব্যবসা করে থাকে। কথিত মোঃ হোছন, আহমদ হোসেন ও আব্দুর রহমান এ সিন্ডিকেটের মূল হোতা। এরা পাথর উত্তোলন এবং সংগ্রহ করে সরকারী ও বেসরকারী স্থাপনা নির্মান কাজে সরবারহ করে আসছে। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতার নাম ভাংগিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশ ধবংস করে নিজেদের স্বার্থে বশিভূত হয়ে নির্বিচারে পাহাড়ী পাথর উত্তোলন করে আসছে। বাহারছড়া কচ্ছপিয়া, বড়ডেইল ও নোয়াখালী এলাকার সংরক্ষিত বনাঞ্চলে এবং তৎসংলগ্ম সমূদ্রে উপকূলের খালের ছড়ার আকড়ে ধরা পাথর উত্তোলন ও সংগ্রহ করার জন্য ২০/৩০ জন শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছে। প্রতিদিন কয়েকটি জীপগাড়ী ভর্তি করে টেকনাফের গোদার বিল ফায়ার সার্ভিস, মাদ্রাসা, বিভিন্ন স্কুল, ব্রীজ কালভার্ট, শামলাপুর পুলিশ ফাঁড়িসহ বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী স্থাপনা নির্মাণ কাজে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতি ঘনফুট পাথরের মূল্য ১১০ থেকে ১২০ টাকা। ১টি জীপ গাড়ীতে ৮০ থেকে ৯০ ঘনফুট পাথর বোঝাই করা হয় এবং এই ভাবে দৈনিক ২০/২৫ টি জীপগাড়ী পাথর বোঝাই করে স্থাপনা নির্মাণ কাজে সরাসরি নিয়ে যাচ্ছে। এ পাথর সিন্ডিকেট এভাবে প্রতিমাসে ১০ লাখ টাকা করে গত চার বছর ধরে কোটি কোটি টাকার পাথর ব্যবসা করেছে । সূত্রে জানা যায়, পাথর ব্যবসা নির্বিঘেœ করার উদ্দেশ্যে পাথর ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ঘাটে ঘাটে জীপ প্রতি নজরানা দিয়ে আসছে। এসব টাকার সংগ্রহের জন্য কচ্ছপিয়া এলাকার এক মেম্বারের ভাই নিয়োজিত রয়েছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। সচেতন মহলের মতে সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং সমূদ্র উপকূলীয় এলাকার প্রাকৃতিক সম্পদ পাথর নিবির্চারে উত্তোলন এবং পাচারের প্রেক্ষিতে এলাকায় পরিবেশ চরম হুমকির মধ্যে রয়েছে। পাথর উত্তোনের ফলে পাহাড় ও সমূদ্র ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উক্ত এলাকার রেঞ্জ অফিসার তারিক হাসান বলেন-সংরক্ষিত বনাঞ্চল বা পাহাড়ি ছড়া থেকে পাথর উত্তোলন বিষয়ে আমার জানা নেই ।