প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে ওই দেশের সরকারের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি হবে। এজন্য এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারের একটি প্রতিনিধি দল মালয়েশিয়া যাবে। মূলত জিটুজি পদ্ধতি মেনে দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে হবে। তাই কোনো মধ্যস্বত্বভোগী সুবিধা নিতে পারবে না।
প্রবাসীকল্যাণ ভবনে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি ড. এস সুব্রামানিয়ামসহ ওই সরকারের নয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে বিদেশে যেতে শ্রমিকদের প্রচুর অর্থ খরচ হতো। এবার এ বাড়তি খরচ কমিয়ে আনা হবে। ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে তারা যেতে পারবে। যাবার টিকেটের মূল্যও শ্রমিকরা কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারবে।”
মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ বলেন, “৬৪ জেলায় ঘরে বসেই শ্রমিকরা মালয়েশিয়া যেতে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কেউ মালয়েশিয়া যেতে পারবেন না। জিটুজি পদ্ধতিতে বাংলাদেশের একজন প্রতিনিধি বিমানের প্রতি ফ্লাইটে উপস্থিত থাকবেন এবং সেখানকার প্রতিনিধির কাছে শ্রমিকদের হস্তান্তর করা হবে। কোনো সমস্যা হলে মালয়েশিয়ান সরকার সেটা দেখবে।”
তিনি বলেন, “বিদেশে যাবার আগে শ্রমিকদের সে দেশের আইন, সমাজ, শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে ধারণা দেয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।”
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি ড. এস সুব্রামানিয়াম বলেন, “মালয়েশিয়ায় যেসব দেশ শ্রমিক পাঠায়, সেসব দেশ থেকেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শ্রমিক নেয়া হবে। বাংলাদেশ সরকার শ্রমিক বাছাইয়ের কাজ করবে।”পরবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব ড. জাফর আহমেদ খান বলেন, “কম্পিউটারের ডাটাবেস হতেও মালয়েশিয়াও চাইলে কর্মী বাছাই করতে পারবে।”
Leave a Reply