’ একুশ অগাস্ট গ্রেনেড হামলায় ব্যবহৃত চারটি অবিস্ফোরিত গ্রেনেড সে সময় ধ্বংস করা হয় ওসমানী উদ্যান ও সেনানিবাসের ইঞ্জিনিয়ারিং মাঠে। আর এই নির্দেশ এসেছিল তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের কাছ থেকে। বুধবার নাজিম উদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে স্থাপিত বিশেষ এজলাসে ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালতে ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.)সাদিক হাসান রুমী একথা জানান। এর আগে বাবরের আইনজীবী টিএম আকবর তাকে জেরা করেন। জেরা শেষে বিচারক আগামী ১৮ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ দিয়েছেন। ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় সন্ত্রাসীরা গ্রেনেড হামলা চালায়। এতে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। আসামিপক্ষের আইনজীবীর জেরার জবাবে সাদিক হাসান রুমি আদালতকে বলেন, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর বাসায় ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা হয়েছিল। ওই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন মুফতি হান্নান, মাওলানা তাজউদ্দিন, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর। ঘটনার প্রায় চার বছর পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু এবং জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানসহ ২২ জনকে আসামি করে সিআইডি প্রথম অভিযোগপত্র দেয়। কিন্তু হামলায় ব্যবহার করা আর্জেস গ্রেনেডের উৎস, সরবরাহকারী এবং ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা আর্জেস গ্রেনেড ধ্বংসের বিষয়টি তদন্তে ২০০৯ সালের ২৫ জুন রাষ্ট্রপক্ষ অধিকতর তদন্তের আবেদন করে। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ৩ দফা শুনানি শেষে ২০১০ সালের ২১ অগাস্ট অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয়। এরপর ২০১১ সালের ৩ জুলাই হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় দুটিতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, লুৎফুজ্জামান বাবর এবং আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ নতুন ৩০ জনকে আসামি করা হয়।