ডেস্ক নিউজ :-রিও ডি জেনিরো: জয় হয়েছে ব্রাজিলের নান্দনিক ও শৈল্পিক ফুটবলের। টিকিটাকা স্পেনের টানা ২৯ ম্যাচ অপরাজেয় থাকার রেকর্ড গুড়িয়ে দিয়ে ৩-০ গোলের জয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো কনফেডারেশন কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে ব্রাজিল। এর মধ্য দিয়ে আসন্ন বিশ্বকাপে নিজেদের লক্ষ্যের কথাও জানান দিয়েছে লুই ফিলিপ স্কোলারির শিষ্যরা।
২০১০ সালের বিশ্বকাপে সুইজারল্যান্ডের কাছে ১-০ গোলে পরাজয়ের পর আর কোনো দলের হার মানেনি স্প্যানিশরা। ব্রাজিলের কাছে পরাজয়ের মধ্য দিয়ে ২৯ ম্যাচে (২৪টি জয় ও পাঁচটি ড্র) অপরাজিত থাকার রেকর্ডে ছেদ পড়ল স্পেনের। আর টানা তৃতীয়বারের মতো কনফেডারেশন কাপ জয়ী প্রথম দল হওয়ার রেকর্ড গড়ল ব্রাজিল। তাদের আগে ফ্রান্স ২০০১ এবং ২০০৩ সালে টানা দুইবার কনফেডারেশন কাপের স্বাদ পেয়েছিল।
সম্ভবত ইতিহাস ছিল ভিসেন্তে দেল বস্কের শিষ্যদের বিপক্ষে। কেননা, ১৯৭৫ সাল থেকে দেশের মাটিতে কোনো প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টে হারেনি ব্রাজিল। আর সেই ১৯৩৪ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত স্পেনের কাছে ঘরে বা ঘরের বাইরে পরাজয়ের রেকর্ড নেই ব্রাজিলের।
সব মিলিয়ে ব্রাজিলের জয় অনেটাই ছিল অবশ্যম্ভাবী। তবে বিশ্বকাপ এবং উইরো চ্যাম্পিয়ন স্প্যানিশরা যেকোনো প্রতিরোধই গড়তে পারবে না, সেটাও ধারণা করা হয়নি। যে কারণে ব্রাজিলের তিন গোলের বিপরীতে কোনো সাফল্য নেই স্প্যানিশদের। উল্টো দ্বিতীয়ার্ধে পাওয়া পেনাল্টি মিস করেছেন স্পেনের সার্গিও রামোস। নেইমারকে অবৈধভাবে ধাক্কা দেয়ার অপরাধে ম্যাচের ২২ মিনিট থাকতেই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় গেরার্ড পিকোকে।
ম্যাচ শুরুর দুই মিনিটের মাথায় ফ্রেডের দেয়া গোলে ব্রাজিল এগিয়ে যেতেই স্প্যানিশরা বোধ হয় কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলেছিল। যে কারণে সম্ভবত সবকিছু তালগোল পাকিয়ে যায়। সুযোগের সদ্ব্যবহার করে ৪৪ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয়বার ক্যাসিয়াসকে পরাস্ত করেন ফ্রেড।
দলের ওরকম জয়ে নেইমার গোল না পেলে কেমন যেন অসম্পূর্ণ থেকে যেত কাব্যটা। এ কারণেই বোধ হয় ৪৭ মিনিটে স্পেনের জালে তৃতীয় তথা কনফেডারেশন কাপের শেষ গোলটি আসে নেইমারের পা থেকে। জয় হয় নান্দনিক ও শৈল্পিক ফুটবলের। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের ঘরে ওঠে কনফেডারেশন কাপের হ্যাটট্রিক শিরোপা।