সাদ্দাম হোসাইন, হ্নীলা .. টেকনাফের হ্নীলা হাই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক প্রধান শিক্ষক মোক্তার আহমদকে বরখাস্তের আদেশ চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড নাকচ করে তাঁকে ওই পদে বহাল রেখেছে। বোর্ডের ৩৩তম আপীল এন্ড আরবিট্রেশন কমিটির সভায় নেয়া এ সিদ্ধান্ত বোর্ড সচিব স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, একক সিদ্ধান্ত নিয়ে তৎকালীন সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিকদার কর্তৃক বিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ৮টি বয়:প্রাপ্ত মূল্যবান গাছ কেটে বিক্রির ঘটনায় সৃষ্ট সহ-সভাপতি-প্রধান শিক্ষকের দ্বন্ধকে কেন্দ করে ২০০৯ সালের ৩ মার্চ মোক্তার আহমদের বিরুদ্ধে উল্টো আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে। এর আড়াই বছর পর পার্শ্ববর্তী বালিকা স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক আবদুস সালামকে সহ-প্রধান শিক্ষক পদে বিতার্কিত নিয়োগ দিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধানের পদে বাসিয়ে তার মাধ্যমে রাতের আঁধারে ভূয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে নিজেকে সভাপতি দেখিয়ে শিক্ষা বোর্ড থেকে একটি ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন নিয়ে আসে। এর প্রতিবাদে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক ও স্থানীয় জনতার আন্দোলনে বিদ্যালয় দীর্ঘ ৭ মাস অচলাবস্থার সৃষ্টি হলে গত বছরের ১২ জুলাই সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে প্রধান শিক্ষক পদে মোক্তার আহমদকে পূণ:বহাল করলে বিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কেটে যায়। কিন্তু মোক্তার আহমদকে নামে প্রধান শিক্ষক রেখে সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিকদারের প্রত্যক্ষ মদদে সহ-প্রধান আবদুস সালাম নিজেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান দেখিয়ে বিদ্যালয়ের ব্যাংক একাউন্ট অগ্রণী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংক থেকে টিউশনী ফি, প্রতিবন্ধি ভাতা, সেকায়েপ উপ-বৃত্তি ও জেনারেল ফান্ডের লক্ষাধিক টাকা উত্তোলণ পূর্বক তছরূপসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী হয়রাণীসহ নানান দুর্নীতিÑঅনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় জড়িয়ে পড়লে মোক্তার আহমদ এর প্রতিবাদসহ প্রতিকারের লক্ষ্যে মিডিয়াসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী অফিসে চিঠি প্রেরণ করলে চলিত বছরের ১৩ ফেব্র“য়ারী তাঁকে আবারো সাময়িক বরখাস্ত দেখিয়ে চুড়ান্ত বরখাস্তের জন্য শিক্ষা বোর্ডের আপীল এন্ড আরবিট্রেশন কমিটি বরাবর প্রেরণ করলে ওই কমিটি মোক্তার আহমদের দু’দফা বরখাস্তের আদেশ নাকচ করে দিয়ে মোক্তার আহমদকে প্রধান শিক্ষক পদে বহাল রাখে। ########### (ডকুমেন্টসহ ছবি আছে) সাদ্দাম হোসাইন, হ্নীলা, টেকনাফ ॥ মোবাইল নং-০১৮২৫-১৬২৮০১