হেলাল উদ্দিন,টেকনাফ…
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদে ভাল-মন্দের যাবতীয় কাজ-কর্ম স্বাভাবিকভাবে চললেও অফিষ চলাকালীন নিয়মিত জাতীয় পতাকা উত্তোলনের কাজটি হচ্ছেনা। যার ফলে উক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক পরিচয় ও দেশপ্রেম নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে।
সরেজমিনে বেশ ক‘দিন যাবত টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ২নং ইউনিয়ন পরিষদের যাবতীয় কর্মকান্ড পর্যালোচনা করে দেখা যায়-চেয়ারম্যান মীর কাশেম মামলা-মোকর্দ্দমা সংক্রান্ত কাজে এলাকার বাহিরে থাকলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়মিত অফিস করছেন। কিন্তু অফিস-আদালতে নিয়মিত জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বিধান থাকলেও তা মানছেনা। একটি বাঁশের আগায় জাতীয় পতাকাটি বেঁধে অমর্যাদাকর অবস্থায ইউপি ভবনের ভেতরে পরিত্যক্ত রাখা হয়েছে। বর্তমানে চেয়ারম্যান নিয়মিত অফিস করলেও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। হয়তো চেয়ারম্যান জামায়াত ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় রহস্যজনক ভূমিকা পালন করছে। এই ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা জহির আহমদ বলেন-আমরা লাখো শহীদের রক্ত ও মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত জাতীয় পতাকার অমর্যাদা হলে আমরা কর্তৃপক্ষ বরাবরে আবেদন করবো।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন- বিষয়টি তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রমাণিত হলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ইউপি চেয়ারম্যান মীর কাশেম বলেন-নিয়মিত পতাকা উত্তোলনের জন্য ১জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সে নিয়মিত পতাকা না উঠালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে স্থানীয় সরকারের অধীনস্থ অফিসে নিয়মিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করার ঘটনায় জনসাধারনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ##