হুমায়ুন রশিদ…….টেকনাফের হ্নীলায় একটি বিবাদমান গ্র“পের সদস্য ও বিএনপি নেতাকে প্রতিপক্ষের লোকজন মারাতœক হামলা চালানোর ঘটনা স্থানীয় রাজনৈতিক দলে রূপান্তর হওয়ায় জনমনে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। প্রধান বিরোধীদল ও সরকারী দলের নেতা-কর্মীরা স্ব স্ব পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় তুমুল হৈ ছৈ ও উত্তপ্ত পরিবেশের সুত্রপাত হয়। প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞার কারণে সাধারণ মানুষ স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেললেও হামলার শিকার পক্ষের থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে রাজনৈতিকভাবে হয়রানির উদ্দেশ্যে নিরীহ লোকজনকে আসামী করার অভিযোগ উঠেছে। উক্ত মামলা হতে নিরীহ লোকজনকে বাদ দেওয়া না হলে আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরাও মিথ্যা মামলায় বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হয়রানির পন্থা অবলম্বন করলে পরিস্থিতি চরম উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে। পুলিশ এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাণিজ্য চালিয়ে সুযোগ নেওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
জানাযায়- গত ১সেপ্টেম্বর বিকাল পৌনে ৬টারদিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকায় বিবাদমান জাফর মেম্বার গ্র“পের সদস্য ও দক্ষিণ শাখা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক- আবছার কামালকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষ কাশেম গ্র“পের সদস্য এবং যুবলীগকর্মী নুর মোহাম্মসদ বাহিনীর হাতে হামলার শিকার হয়। বর্তমানে আবছার কামাল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাকে হামলার ঘটনার পরদিন বিএনপি,যুবদল,ছাত্রদল বিক্ষোভ মিছিল ও পথ সভা করে পরবর্তী দিন প্রতিবাদ সভার কর্মসূচী ঘোষনা কবরে । একই দিন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটুক্তি করার অভিযোগ এনে প্রতিবাদ সভা আহবান করলে প্রশাসন সংঘাত এড়াতে ১৪৪ধারা জারি করে। এরপর দু‘দল পৃথক পৃথক সাংবাদিক সম্মেলন করে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। টেকনাফ থানায় গত ৪সেপ্টেম্বর রাত সোয়া ৮টায় আহতের স্ত্রী মর্জিনা আক্তার মদিনার দায়েরকৃত মামলা নং-১৩ পর্যালোচনা করে দেখাযায়- আবছার কামালকে হামলার ঘটনায়-লেদার মৃত আবুল কাশেমের পুত্র নুরুল হুদা (৩৫) ও নুর মোহাম্মদ (৩৮), মৃত লাল মিয়ার পুত্র মফিজ আলম (২৮) , মোহাম্মদ আলম(৩৯) ও জাফর আলম (৩৬), আবুল কালামের পুত্র কামাল হোছন প্রকাশ কাম্পু (৩৬), মৃত গবী সোলতানের পুত্র মোস্তাক আহমদ(৪৫),লালমিয়ার পুত্র ফরিদুল আলম (৩০), মৃত আবুল কাশেমের পুত্র শামসুল হুদা (২৮), মৃত জহির উদ্দিনের পুত্র শাহাবুদ্দিন (৩৪), মৃত আবুল কাশেমের পুত্র নুরুল কবির (৩৪), সরওয়ার কামাল(২২) ও আবছার উদ্দিন (২০), কবির আহমদের পুত্র বশির (৩০) , মৃত আব্দুস সালামের পুত্র নুরুল আলম (৩৩), এজার মিয়ার পুত্র জানে আলম(২৬)ও ফরিদ আলম(২৮), মোস্তাক আহমদের পুত্র মোহাম্মদ আলী (২২) সর্বসাং লেদাকে সহ ১৮জনকে আসামী করা হয় । দীর্ঘদিনের বিবাদমান গ্র“পের হামলা ও পাল্টা হামলার মামলায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কারণে-৩, ৫, ৬, ৭, ১১, ১২, ১৩, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮নং আসামীদের রাজনৈতিক শত্র“তার কারণে আসামী করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন । যারা স্থানীয় ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের বিভিন্ন পদস্থ নেতা-কর্মী এবং অনেকে ব্যবসায়িক ও চিকিৎসা জনিত কারনে বাহিরে ছিল। এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ,যুবলীগও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠছে । তারা বলেন নৃশংস এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আসামী করা হলে আমাদের আপত্তি নেই । কিন্তু রাজনৈতিক কারণে আসামী করে হয়রানির চেষ্টা করা হলে আমরা ও বসে থাকবনা, রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবো। এতে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা হয়রানির অভিযোগ আনলে সচেতন জনতাই এর সুবিচার করবেন।
বিবাদমান গ্র“পের এ ঘটনায় হ্নীলা-টেকনাফের পরিস্থিতিক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ সুবিধা আদায় করে বিরোধী দল সমর্থক নিরীহ জনসাধারণকে হয়রানিতে ফেলবে বলে আশংকা করা হচেছ। ########
Leave a Reply