টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নে ব্যবসায়ীদের বিজিবি কর্তৃক হয়রানী বন্দের দাবীতে এমপি বরাবরে আবেদন পেশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। জানা যায়- দীর্ঘ কয়েক দিন ধরে হ্নীলা ইউনিয়নে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বিজিবি বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করছে মর্মে হ্নীলা বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক জহির আহমদ স্বাক্ষরিত একটি আবেদন এমপি বরাবরে পেশ করেছেন। আবেদনে উখিয়া-টেকনাফের সাংসদ আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদি আসন্ন রমজানের আগে জরুরী ভিত্তিতে সমস্যার সমাধান করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ,ন,ম নাজিম উদ্দীনের কাছে সুপারিশ করেছেন। এমপি বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিদায় এ নির্দেশ করেছেন বলে জানা যায়। আবেদনে বলা হয়- ‘আমরা ঐতিহ্যবাহী হ্নীলা ষ্টেশন-বাজার এর ব্যবসায়ী হই। দীর্ঘ দিন থেকে আমরা উক্ত বাজারে সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছি এবং ভ্যাট-ট্যাক্স প্রদান করে সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা করে আসছি। ইহা অতীব দু:খের বিষয় যে, সম্প্রতি মায়ানমারে চাউল পাচার হচ্ছে এই অজুহাতে আমাদের ষ্টেশন-বাজারের দোকানে রক্ষিত চাউল এবং সাধারণ জনগণ কে বিক্রিত চাউল এবং অন্যান্য মালামাল যাহা সড়ক ও জনপথ(কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক) দিয়ে গ্রামীন বিভিন্ন দোকানে পরিবহণ করার সময় বিজিবি কর্তৃক ধৃত পূর্বক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। যাহা নাগরীক জীবন যাপনে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে এবং মৌলিক অধিকার হরণ হচ্ছে। এব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে ব্যবসায়ী ও নাগরীক জীবনে ছন্দ ফিরিয়ে আনার জন্য আপনার বরাবরে সবিনয় অনুরোধ রইল। উল্লেখ্য যে, যদি আমরা সম্মানের সাথে এবং স্বাধীন ভাবে ব্যবসা করতে না পারি এবং বিজিবি কর্তৃক ব্যবসা পরিচালনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হয় এবং ব্যবসায়ীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হয় তবে আমরা ব্যবসায়ীরা বাজারের সমস্ত দোকান পাট বন্ধ করে জাতীয় স্বার্থে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হব’। সদয় বিবেচনার জন্য ১। মাননীয় জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার ২। কমান্ডিং অফিসার, ৪২ বিজিবি, টেকনাফ ব্যাটলিয়ন ৩। উপজেলা চেয়ারম্যান, টেকনাফ ৪। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, টেকনাফ ৫। উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান, টেকনাফ ৬। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, টেকনাফ থানায় অনুলিপি প্রেরণ করেছেন।
Leave a Reply