গত ৪ নভেম্বর দৈনিক হিমছড়ি পত্রিকা ও ইন্টানেট চ্যানেলে প্রকাশিত রোহিঙ্গা জামালের প্রতারনা থেকে সাবধান শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যা উদ্দেশ্য প্রণোদিত, ভিত্তিহীন এবং স্থানীয়ভাবে আধিপত্য বিস্তারের বলীর পাঠা হিসেবে আমার মত একজন অসহায় মৌলভীকে সামাজিকভাবে হেয় করার অপচেষ্টা মাত্র।
উক্ত সংবাদে আমাকে রোহিঙ্গা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যারা আমাকে রোহিঙ্গা অপবাদ দিচেছন হ্নীলা দরগাহ পাড়া এলাকায় এসে যাচাই করে দেখুন আমি বাংলাদেশী নাকি রোহিঙ্গা। প্রকৃত ঘটনা হল হোয়াইক্যং দৈংঘাকাটা ফোরকানিয়া মাদ্রাসার নেতৃত্ব নিয়ে স্থানীয় দিল মোহাম্মদ মেম্বার গ্র“প ও সর্দার মীর কাশেম গ্র“পের মধ্যে দ্বন্দ চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। দিল মোহাম্মদ মেম্বারের নির্দেশ মোতাবেক না চলার কারনে আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে নানা অভিযোগ আনছে। আমি স্বস্ত্রীক উক্ত মাদ্রাসার পাশে বসবাস করছি। তারা আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনছে সে সময় মাদ্রাসা বন্ধ ছিল। মাদ্রাসা বন্ধ থাকাকালে এবং স্ত্রীর সামনে কিভাবে অবৈধ কাজ-কর্ম হতে পারে তা সচেতন মহল একটু ভেবে দেখুন। আমার স্ত্রী এ অপবাদের জন্য স্থানীয় প্রভাবশালীদের নিকট বিচার দাবী করলেও নিরাশ হয়। এছাড়া সাবরাং, খারাংখালী ও হোয়াব্রাং এলাকায় চাকুরী করার সময় এ জাতীয় ঘটনার কথা বলা হলেও কোন এলাকায় এসব কারনে চাকরী ছেড়ে দিতে হয়নি। বরং আমার যোগ্যতার কারনে বিভিন্ন স্থানে সম্মানজনক উন্নতি হয়েছে। এলাকার ২টি গ্র“পের আধিপত্য বিস্তারে ঘটনায় আমার মত একজন সাধারন মৌলভীকে সামাজিকভাবে হেয় করা কতটুকু যৌক্তিক তা সংবাদ সরবরাহকারীরা ভেবে দেখুন। স্থানীয় মাষ্টার আব্দুর রহিমের পুত্র রাশেদ আমার বন্ধু ছিল। ঈদের সময় তার বাড়িতে বেড়াতে গেলে আমার ছবি মোবাইলে ধারন করে। এ জাতীয় মিথ্যা ঘটনা পত্রিকায় ছাপানোর জন্য বিভিন্ন সংবাদকর্মীর কাছে ধর্ণা দেওয়ার পর নিরাশ হয়ে কক্সবাজার গিয়ে মোবাইলে ধারন করা ছবি দিয়ে দিল মোহাম্মদ মেম্বারের চাচাত ভাই রাশেদ স্বার্থের জন্য আমার ছবি ব্যবহার করেছে। এ কারনে আমি হোয়াইক্যংয়ের চাকরী থেকে অব্যাহতি দিয়ে হোয়াব্রাং এলাকায় চাকরীতে যোগদান করতে যাচিছ। এ ব্যাপারে সবার দোয়া কামনা করে উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের পাশাপাশি কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানাচিছ। আগামীতে এ ব্যাপারে সংবাদকর্মী ভাইদের আন্তরিক সহায়তা কামনা করি।
Leave a Reply