ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার থেকে : ঈদের ছুটিতে পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার শহরসহ প্রায়সব পর্যটন স্পটে ভ্রমণপিপাসুদের উপচেপড়া ভিড় বাড়ছে। সুযোগটি কাজে লাগিয়ে হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিকসহ অসাধু ব্যবসায়ীরা উৎসবে মেতে উঠেছেন পকেট কাটায়। ফলে পদে পদে ভোগান্তির শেষ নেই পর্যটকদের। ঈদের দিন থেকে এ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ব্যাপক খোঁজ নিয়ে জানা গেছে উল্লিখিত তথ্য।
সরেজমিনে দৃশ্যমান হয়, পৃথিবীর দীর্ঘতম বেলাভূমির দর্শন এবং সাগরের নীল জলরাশির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে না চায় কে। তাই ঈদের টানা ছুটি উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন পর্যটকরা। ভ্রমণপিপাসুরা সৈকতের আঁচড়েপড়া নীল জলরাশিতে কেউ গোসল করছেন আবার কেউ বা নীল দিগন্তের সূর্যাস্তের মোহনীয় রূপ উপভোগ করছেন। সৈকতে গোসল করাসহ সার্বিক নিরাপত্তার জন্য পর্যটকদের মধ্যে সচেতনতামূলক লাল পতাকা পুঁতে রাখা হয়েছে। তবে ভাটার সময় লাল পতাকা দিয়ে সতর্ক অগ্রাহ্য করে অনেক পর্যটককে গোসল করতে দেখা গেছে।
ঈদের ছুটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ ঝিনুক ও বার্মিজ মার্কেটগুলোতেও বিকিকিনি বেড়ে গেছে। মার্কেটগুলোতে বিভিন্ন ঝিনুক সামগ্রী ও মিয়ানমারের তৈরি নানা প্রকারের পণ্যের পসরা সাজানো হয়েছে।
পর্যটকরা জানান, কক্সবাজারে বেড়াতে এসে এ সৈকত দর্শন ও কয়েকটি দর্শনীয় স্থান ছাড়া আর কিছুই নেই। বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য নিত্য নতুন বিনোদনকেন্দ্র গড়ে তোলা হলে পর্যটকরা এসে এখানে দীর্ঘদিন থাকতে পারবে। সমুদ্র সৈকতে ঈদের টানা ১১ দিনের ছুটি কাটাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিড় জমানো পর্যটকদের বরণ করতে হোটেল-মোটেলগুলো নবরূপে সাজানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কক্সবাজারে রয়েছে চার শতাধিক ছোট বড় হোটেল-মেটেল ও গেস্ট হাউস। এসব হোটেল মোটেলে ১২ হাজারের মতো কক্ষ রয়েছে। কক্সবাজারে এসব হোটেল-মোটেলে ৯০ হাজার থেকে এক লাখ পর্যটক থাকতে পারবে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার জানান, আবহাওয়া ভালো থাকায় এবারের ঈদের ছুটিতে প্রচুর পর্যটকের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া পর্যটকদের ভোগান্তি যাতে না হয় সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
কক্সবাজার হোটেল মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমতিয়াজ চৌধুরী জানান, ঈদ উপলক্ষে কদিন পর্যটকদের বাড়তি চাপ আছে। এর পর আর কোনো অগ্রিম বুকিং নেই।
সাম্প্রতিককালে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের বেহালদশা এবং স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার বিষয়টিকে অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন।
Leave a Reply