মোঃ সিরাজুল হক সিরাজ… দীর্ঘ বহদিন পর পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ থেকে ফিরে এসে ভ্রাম্যমান জেলা প্রতিবেদক ৩০ সেপ্টেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্রের গভীর বঙ্গোপ সাগরের হালচালের সরজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায় যে, মিয়ানমার বা বার্মা রাজ্জ্যের আকিয়াব শহরের পছাখালী পিজরা বাত্বি ঘরের গা ঘেষেই সেই সুজাসুজি পশ্চিম-দক্ষিণ প্রান্ত দিয়া পশ্চিমের দিকে মহিসোপান হয়ে গভীর বঙ্গোপসাগরের মধ্যমনি সাগরের বুক দিয়ে যেতে যেতে ভারত বা হিন্দুস্থানের রাই মঙ্গলের খারি নামক স্থানে গিয়ে পৌছায়। বাংলাদেশের সীমান্তে এর দিকে আছে চাঁন তারা মার্কা বিশাল বিশাল বয়া ও ভারত বা হিন্দুস্থানের রাই মঙ্গল খারির পার্শ্বে অর্থাৎ রাই মঙ্গল খারিতে আছে মুত্তিমার্কা বিশাল বিশাল বয়া। এই জরীপ গুলি করে বয়া দেন বৃটিশ সরকারের আমলে। চাঁনতারা বয়া হইল বর্তমান স্বাধীন বাংলাদেশরই বয়া। কারণ পূর্ব পাকিস্তানের পতাকার স্মৃতি ধারণ করে সেই অনুসারে এই বয়া দিয়েছিল। পূর্ব পাকিস্তান বাতিল হইয়া স্বাধীন বাংলাদেশ জন্ম হইলে ঠিক চাঁনতারা বয়া হইল বাংলাদেশ লাল-সবুজের স্মৃতি বিজড়িত বয়া। তাই মিয়ানমার বা বর্মা রাজ্জের পছাখালী পিজারা বাত্তিঘর হইতে দক্ষিণ পশ্চিমে মহিসোপানে প্রবাহিত বঙ্গোপ সাগরের গভীর সমুদ্রের সীমানা নির্ধারন ক্রমেই পৌছায় ভারতের বা হিন্দুস্থানের রাই মঙ্গল খারি নামক স্থানে। এই বিশাল গভীর বঙ্গো সাগর এর বুকে সরজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায় যে, ১। বিভিন্ন রকমের মৎস্য জীবী, মৎস্য শিকারী জেলেদের ফিশিং ট্রলার ছোট বড় বিভিন্ন প্রকৃতির বিভিন্ন জাতের। ২। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বা নেভী। ৩। বিভিন্ন দেশের ছোট বড় মালবাহী জাহাজ বিভিন্ন প্রকৃতির। ৪। বাংলাদেশের ছোট বড় মালবাহী জাহাজ বিভিন্ন প্রকৃতির। ৫। দেশীয় ছোট বড় অত্যাধুনিক মাছ শিকারের ট্রলার। ৬। বিদেশী থাইল্যান্ডের বড় বড় মাছ শিকারের অত্যাধুনিক ট্রলার। বাংলাদেশ ধ্বংসকারী চোরাকার্বারীর নিরাপদ রাস্তা এই বঙ্গোপসাগর। চোরাকার্বারী বা মাফিয়ারা বড় বড় জাহাজে বা দেশীয় তৈরি শক্তি শালী ট্রলার দিয়ে বাংলাদেশ থেকে মূল্যবান জিনিস পত্র বিদেশে গোপনে পাচার করে ও বিদেশ থেকে ঠিক একই কায়দায় বিদেশী মালামাল এ দেশে প্রবেশ করায়। যেমন অবৈধ অস্ত্র গোলা বারুদ, হিরুইন, ইয়াবা টেবলেট, আদম পাচারসহ নানা রকম দেশ ধ্বংসকারী নিষিদ্ধ জিনিসপত্র পাচার ও আমদানী করিয়া থাকে। বাংলাদেশের বড় বড় খুনী, গডফাদারগণ, ডাকইত দল আতœগোপনের নিরাপদ স্থান এই গভীর বঙ্গোপ সাগর। এই বঙ্গোসাগরের জনবসতির স্থলভাগ থেকে বাংলাদেশের স্থানের পরিমানের চেয়ে প্রায় ২১ গুন বড় এই গভীর বঙ্গোপ সাগর এখনো অরক্ষিত। এর পরেও মিয়ানমার বা বার্মা রাজ্জের বহুত বহুত স্থলভাগ বা জায়গা বর্মা বা মিয়ানমার বাঙ্গালীদের জায়গা অবৈধভাবে জবর দখল করিয়া রহিয়াছে। তার যথাযথ প্রমাণও আছে। ঠিক একই ভাবে ভারত বা হিন্দুস্থানের ভিতরও বাংলাদেশের বহুত স্থলভাগ বা জায়গা রহিয়াছে। তার প্রমাণও আছে। যেমন কোলাদং পাহাড়ের শিসনালী ইমাম মরদ্বিয়া নামক পর্যন্ত বাংলাদেশের স্থলভাগ জায়গা জমি পাহাড় হয়। বৃটিশ সরকার আমলে আধিপত্য বিস্তার করিয়া সেই আমলে নাটকীয়ভাবে তাদের ইচ্ছামত এদার ওদার হয়। পরিস্কার ভাবে সি,এস জরিপে পূর্নঃ পূর্ন বাংলাদেশীদের আবাসস্থল চিহ্নীত। রদবদল এধার ওধার বৃটিশ সরকার আমলে আর,এস রেকর্ড ইচ্ছাকৃতভাবে ভুলে ভরা তারপরেও কোলাদং পাহাড় শিস নালী ইমাম মরদ্বিয়া বাংলাদেশের নামীয় আবাদকারী দলিল বৃটিশ শাসকদের রক্ষিত হিমাগারে রক্ষিত আছে। এবং পৃথিবীর পুরাতন প্রাচ্যের দেশ জার্মান, ইতালী, তুরস্ক, ইরাক, প্রাচীন সভ্যতার বহুত দেশে বাংঙ্গালীদের যে দেশ তাহার প্রমান্য বহুত কিছু রহিয়াছে। বার্মা বা হিন্দুস্থান উত্থান পতন নাটক বানায় শুধু বৃটিশ শাসন। এর আগে বাংলাদেশীদের এবং তাদের পূর্ব পুরুষের রাজত্ব ছাড়া আর কিছুই ছিলনা। অবুঝ অঘোর ঘুম নিদ্রায় ছিল এই বাঙ্গালী। নিয়তির কি পরিহাস। ভারতের প্রাচীনতম যতগুলি কৃর্তি আছে সব নিশানা বাঙ্গালীদের ছাড়া আর কিছুই ছিলনা। বাঙ্গালীদের বিমাতা সুলভ আচরন করে বৃটিশেরা। পাকিস্তানী জান্দালদের কথায়। এই বঙ্গো সাগরে সৃষ্টি কর্তার বড় ধরনের নিয়ামত আছে ইহা বাস্তব সত্য। খনিজ সম্পদ আছে বহুত বহুত স্থানে এই বঙ্গো সাগরে সেই বিদেশীরা পাগল হইয়া আছে যে, সে কারণে বাঙ্গালীদের এত মায়া দরদ বাংলাদেশের জন্য। মায়া দরদটা হইল হৃদয়ের ভিতরে আতœার ভিতরে বিষ দিয়ে তামাশার ভালবাসা। সঠিক হৃদয়ের ভালবাসা বিদেশীরা করেন না। হাসের বজা বা ডিম কোরার বজা বা ডিম কোরার উম বা মোরগের তায় পরেয়ার পুত্র দিয়ে নাতুং নাতুং করে। এর অর্থ বাঙ্গালী দিয়ে বাঙ্গালীদের জীবন মান সম্পদ দৌলত ধ্বংস বা লুটপাট করার জন্য ভালবাসা বা তাদের দেশে লইয়া যাওয়ার ভালবাসা। এ দেশীয় দোসরদের দিয়ে। এই বঙ্গো সাগরে বিদেশী থাইল্যান্ডের ফিশিং ট্রলার রাত্রি দিনে অনবরত জাল সাগরে ফেলিয়া টানিয়া বড় বড় মাছ গুলি তাদের ট্রলারে উঠায়। ছোট ছোট মাছের পোনা বাচ্চা গুলি সাগরে ঢালিয়া ফেলিয়া দেয় ওই ফিশিং বিদেশী ট্রলার একটি কোপে কোটি কোটি পোনা মাছ নিধন করে যাচ্ছে। এইটাকি বিশাল ষড়যন্ত্র ছাড়া দেশ ধ্বংস ছাড়া আর কিছুই নয়। আবার বঙ্গো সাগরের কুল কিনারা থেকে জেগে উঠা চর জলাশয়গুলিতে নেট জাল দিয়ে কোটি কোটি পোন মাছ নিধন করে দেশীয় জেলের দল। বাংলাদেশের নদীর মূল মোহনার কেন্দ্র বিন্দু হচ্ছে গভীর বঙ্গোপ সাগর। যেমন মেঘনা, যমুনা, পদ্ধা, আত্রায়, কণফুলী, বহ্মপুত্র নদী ও আরও অনেক নদী ও শাখা নদীর মূল মোহনা হচ্ছে এই বঙ্গো সাগর। প্রতিদিন দিন ও রাত্রিতে বঙ্গোসাগরের ভিতরে বা নদীতে হাজার হাজার টেংরা জাল, ধর্মজাল, পাতালী জাল, রাজ জাল, বিহীন্দি জাল, বিভিন্ন নেট ওয়ালা জাল, জানা অজানা শত শত রকমের জাল দিয়া কোটি কোটি পোনা আহরন ও নির্ধন করে যাচ্ছে। এই গভীর বঙ্গো সাগরের বুকে কুম জাল, ডুবো জাল, ভাসা জাল, লাক্ষো জাল, বিহিন্দী জাল, ইলিশ জাল, শত শত রকমের জাল দিন রাত্রিতে বঙ্গো সাগরের গভীর সাগরে বসায় আর উঠায়। একটির ও ফিশিং ট্রলারের কোন লাইসেন্স নাই। পারমিট অনুমতি বা অবগতি নাই। তার পরেও পোনা মাছ নির্ধন করিয়া যাচ্ছে। এই বঙ্গো সাগরে ১৫ রকমের পানি প্রবাহীত আছে তার আবার নির্দিষ্ট পানির সীমান তরঙ্গও আছে। ১। গোলা পানি ৪ ধরনের। ২। সবুজ পানি ৪ ধরনের। ৩। নীলা পানি ৪ ধরনের। ৪। কালো পানি ৬ ধরনের। ৫। সাদা পানি ৬ ধরনের। বিভিন্ন রকমের পানির তরঙ্গ বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে। এটা নির্ভর করে গভীরতা নিয়ে। যেমন গোলা পানি ১ বাম হইতে ৫ বাম এক ধরনের রূপ ধারন করে। আবার ৫ বাম হইত ১৫ বাম পর্যন্ত আর এক ধরনের রূপ ধারন করে। ১৫ বাম হইতে ২৬ বাম পর্যন্ত আর এক রকমের রূপ ধারন করে। এদের তরঙ্গও বিভিন্ন প্রকৃতির। নীলা পানি ২৭ বাম হইতে ৩৮ বাম পর্যন্ত এক প্রকারের তরঙ্গও এক প্রকারের, ৩৯ বাম থেকে ৪৫ বাম পর্যন্ত আর এক রকমের তরঙ্গও আর এক রকমের, আবার ৪৬ বাম থেকে ৫০ বাম পর্যন্ত আর এক রকমের তরঙ্গও আর এক রকমের, ৫১ বাম থেকে ৫৮ বাম পর্যন্ত আর এক রকমের তরঙ্গও আর এক রকমের। সবুজ পানি মূলত চার প্রকার ৫৯ বাম থেকে ৬২ বাম পর্যন্ত আর এক রকমের তরঙ্গও আর এক রকমের, ৬৩ বাম থেকে ৭০ বাম পর্যন্ত আর এক রকমের তরঙ্গও আর এক রকমের, ৭২ বাম থেকে ৮২ বাম পর্যন্ত আর এক রকমের তরঙ্গও আর এক রকমের, ৮৪ থেকে ৯৯ বাম পর্যন্ত আর এক রকমের তরঙ্গও আর এক রকমের। ১০২ বাম থেকে কালো পানির সৃষ্টি। তাহা ১২০ বামে গিয়ে আর এক রকম হয়। ১২৪ বাম হইতে ১৪৮ বাম আর এক রকম হয়। ১৫২ থেকে ১৮০ বাম পর্যন্ত আর এক রকমের হয়। ১৮৩ বাম থেকে ১৯৯ বাম পর্যন্ত আর এক রকমের। ২০৩ বাম হইতে আর এক রকমের গতি ধারা। ২০৫ বাম হইতে ২৪৮ বাম আর এক রকমের গতি ধারা। ২৪৯ বাম হইতে ৫০০ বাম পর্যন্ত এক রকমের একধারার বিশাল কালো পানির সাগর। ৫০০ বাম থেকে ৫১০ গেলে গভীর বঙ্গো সাগর। যার বাম ৩০০০ বামেরও বেশি। ঐ গতিধারার পানিটি হুবহু এবং তলার মাটি পাওয়া যায় বর্তমান সরকার গভীর সমুদ্র বন্দর করিতেছেন ব্ল্যকর দিয়া নামক সোনাদিয়ার সেই পানিও মাটির সন্ধান মিলে। আর বাংলাদেশের সাগরে কোথাও এই পানির রঙ তলার মাটি পাওয়া যায়না। শুধু সোনাদ্বিয়ার পরিচিহ্নীত ব্ল্যকর দ্বিয়াতে আছে। তবে সোন দিয়ার পানি মাটি এক হইলেও গভীরতা ৮৪ বাম। কিন্তু এত কিনারে বাংলাদেশে ভারতে মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশে এশিয়া মহা দেশের কোন দেশে স্থলভাগের কাছে এত গভীর পানি নাই সেই মাটিও নাই। শুধু আছে কক্সবাজার জেলার সোনা দিয়ার বুক ব্ল্যকার দ্বিয়া নামক স্থানে। যাহা বর্তমান সরকার পরিচিহ্নীত করিয়া গভীর সমুদ্র বন্দর ঘেষনা দিয়েছেন। বঙ্গো সাগরের কোথাও সাইক্লোন, ঘুণিঝড়, হারিকেন, তুপান হইলে বঙ্গোসাগরের বুকে এখনো পর্যন্ত জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেনের মত বঙ্গো সাগরের বুকে ভাসমান অত্যাধুনিক রাডার স্থাপন করা হয় নাই। যে কারণে কাল বাজারী বিদেশী দেশী অস্ত্রবাজ চোর ডাকাতেরা সহজে গোপনে আশ্রয় প্রশ্রয় পাইয়া থাকে। সুযোগ বুঝে মহা মূল্যবান খনিজ সম্পদ বিদেশী গুপ্ত চোর ও দেশীয় গুপ্তচোর মিলে মিশে তন্ন তন্ন ষড়যন্ত্র অব্যহত রাখিয়েছে। বিদেশী ভালবাসা একটি রঙ তামাশা মাত্র।
দীর্ঘ বহদিন পর পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ থেকে ফিরে এসে ভ্রাম্যমান জেলা প্রতিবেদক ৩০ সেপ্টেম্বর
০১৭২৭৬২৮২৯৫
Leave a Reply