আশেক উল্লাহ ফারুকী, টেকনাফ …সেন্টমার্টিনদ্বীপে এক মেধাবী শিক্ষার্থীর ফলাফল জালিয়তির চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে ঘটেছে এঘটনা। শিক্ষার্থীর পিতা ওমর আজিজ ১৫ জুলাই এব্যাপারে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেছে। লিখিত অভিযোগে বলা হয়- সেন্টমার্টিদ্বীপ পশ্চিমপাড়া মৃত কালু মিয়ার পুত্র ওমর আজিজের ছেলে মো: আয়াজ উদ্দিন ২০১১সনে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী(পিএসসি) পরিক্ষায় জিনজিরা সরকারী প্রাইমারী স্কুল থেকে অংশগ্রহণ করেছিল। তার রোল নং ১৬৮১। পরীক্ষায় তার ফলাফল হচ্ছে ৩.৯২। যার মান এ-। অপর দিকে একই স্কুলের পরিক্ষার্থী আব্দুর রহিমের পুত্র এরশাদুল ইসলামের রোল নং-১৬৮৭। তার ফলাফল হচ্ছে ৩.৮৩। যার মান সাধারণ। কিন্তু মার্ক বেশী থাকা সত্বেও আয়াজ উদ্দীনকে বৃত্তি না দিয়ে রহস্যজনক কারণে তুলনামূলক কম মার্ক পাওয়া এরশাদুল ইসলামকে বৃত্তি দেয়া হয়েছে। অভিযোগকারী ওমর আজিজ জানান- তার ছেলে মো: আয়াজ উদ্দীন ২য় থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত বরাবরই ফাস্ট বয় হিসাবেই ছিল। মার্কও তার ছেলের বেশী। কিন্তু কোন রহস্যের গ্যাড়াকলে পড়ে এবং কার ভূলের মাসুল দিতে গিয়ে আয়াজ উদ্দিনকে বৃত্তি থেকে বঞ্চিত করা হল তা অজ্ঞাত। ওমর আজিজ আরও জানান- বিষয়টি তার গোচরে আসার পর তিনি কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে সাক্ষাৎ করে বিস্তারিতভাবে অবহিত করেছেন। তিনি ঢাকায় কম্পিউটারের ভূল বলে স্বীকার করে ট্কেনাফ উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সুপারিশসহ আবেদন দাখিল করতে পরামর্শ দেন। জেলা শিক্ষা অফিসারের পরামর্শ মতে ওমর আজিজ ১৫ জুলাই বিকালে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস্ নিয়ে জিনজিরা সরকারী প্রাইমারী স্কুলের সভাপতি আমির হোসেন মেম্বার, সেন্টমার্টিনদ্বীপ আওয়ামীলীগের সভাপতি নুর আহমদ, সাংবাদিক আশেকউল্লাহ ফারুকীসহ শিক্ষা অফিসে গেলে লিখিত অভিযোগ পত্র গ্রহণ করেননি। বর্তমানে ওমর আজিজের মেধাবী ছেলে দ্বীপের বিএন হাইস্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যয়ন করলেও ফলাফল কেলেংকারীর এঘটনায় লেখাপড়ার মনোযোগ হারিয়ে ফেলেছে। তিনি এব্যাপারে উর্ধতন কত্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ দাবী করেছেন। এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টেকনাফ উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আ,ন,ম আব্দুল্লাহ বলেন- ফলাফল পূণ মূল্যায়নের নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে গিয়েছে অনেক আগে। এতদিন পরে অফিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়।######
Leave a Reply