হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফঃ ৭মাসের গর্ভবতী অসহায় এক গৃহবধু নাবালেগ ২ শিশুর সামনে ধর্ষনের শিকার হয়েছে। ধর্ষণ ঘটনার পর চিকিৎসা, বিচার, আইনের আশ্রয় ইত্যাদির পরিবর্তে গুরুতর আহত ধর্ষিতা গৃহবধুকে উখিয়া পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের চান্দলীপাড়া গ্রামে ১১ সেপ্টেম্বর দিবাগত গভীর রাতে। স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোঃ ইউনুচ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এলকাবাসী সূত্রে জানা যায়- সাবরাং চান্দলীপাড়া মহেন্দ্র শীলের পুত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মোঃ কামাল ধারণ করেন। পেশায় তিনি একজন দিন মজুর। উখিয়া থেকে মুসলিম পরিবারের এক তরুণীকে বিয়ে করে সাবরাং চান্দলীপাড়া মৃত মছন আলীর পুত্র নজির আহমদের ভিটায় ঝুপড়ি করে বসবাস করে আসছে। সংসারে বর্তমানে ২জন শিশু সন্তান রয়েছে এবং ৭মাসের গর্ভবতী কয়েকদিন ধরে স্বামী মোঃ কামাল বাসায় ছিলনা। কাজের সন্ধানে বাইরে ছিল। স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে গত ১১ সেপ্টেম্বর দিবাগত গভীর রাতে স্থানীয় বেশ কয়েকজন বখাটে লম্পট গর্ভবতী গৃহবধুকে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এতে বাধা দেওয়ায় বখাটে লম্পটরা গৃহবধুকে কুপিয়ে জখম এবং আঙ্গুল কেটে ফেলে। অসহায় মায়ের চিৎকারে ২শিশু জেগে উঠে তাদের আর্তনাদ এবং অনুনয় লম্পটদের দমাতে পারেনি। ১২ সেপ্টেম্বর সকালে লম্পট ধর্ষকদের তৎপরতায় তড়িঘড়ি করে ধর্ষিতা গৃহবধুকে উখিয়া পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতবড় একটা জঘন্যতম ঘটনায় আইনের আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উক্ত ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ ইউনুচ ঘটনার সত্যতা স্বাীকার করে গত কয়েকদিন ধরে আমি জরুরী কাজে চট্রগ্রামে অবস্থান করছি। ঘটনার বিষয়ে শুনেছি। ধর্ষিতা গৃহবধুর চিকিৎসার এবং দ্রুত আইনের আশ্রয় নেয়ার ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পরামর্শ দিয়েছিলাম, কিন্তু তাা আমার পরামর্শ শুনেনি। এতবড় একটা জঘন্যতম ঘটনা, অথচ এব্যাপারে টেকনাফ থানা পুলিশ মোটেও অবহিত নয়। ১২ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৭টায় জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহবুবুল হক বলেন- এধরণের ঘটনা সম্পর্কে কোন মামলা হয়নি এবং কেউ অবহিতও করেনি।###########
Leave a Reply