মুহাম্মদ ছলাহ্ উদ্দিন, পূর্ণিমা তিথি ও প্রবল মৌসুমী বায়ূর প্রভাবে সাগর ও নাফ নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারে ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে অবাধে পানি প্রবাহের কারণে টেকনাফ-শাহপরীরদ্বীপ সড়কের ৩ কিলোমিটার এলাকা ডুবে গেছে। শাহপরীরদ্বীপের পনিবন্ধি ৩০ হাজার বাসিন্দা নৌকা ও কাঠের বোট দিয়ে চলাচল করছে।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সময়ে ওই এলাকা সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, দেশের সর্বশেষ ভূ-খন্ড শাহপরীরদ্বীপে যাওয়ার একমাত্র সড়কের উপর সাগর-নদীর জোয়ারের পানি থৈ থৈ করছে। টেকনাফ-শাহপরীরদ্বীপ সড়কের সাবরাংয়ের খারিয়াখালী হতে শাহপরীরদ্বীপের উত্তর মাথা পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার এলাকা জোয়ারের পানিতে ডুবে আছে। ওই সড়কে এখন রীতিমত ঢেউ ভাঙ্গছে। লোকজন নৌকা ও কাঠের বোট নিয়ে পারাপার করছে। দ্বীপের বাসিন্দা আবদুল জলিল জানান, শাহপরীরদ্বীপের পশ্চিম ও দক্ষিণ পাশে সাগর এবং পূর্ব পাশে নাফ নদীর অবস্থান। সাগর-নদীর করাল গ্রাস থেকে দ্বীপ রক্ষার জন্য নির্মিত বেড়িবাঁধ গত বিভিন্ন সনে ভাঙ্গনের ফলে ওই ভাঙ্গা অংশ দিয়ে অবাধে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আরেক বাসিন্দা মোস্তাক আহমদ জানান, আমরা দ্বীপে প্রায় ৩০-৩৫ হাজার লোক বাস করি। এতদিন ছিল দ্বীপের দু’দিকে সাগর আর একদিকে নাফ নদী। বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের ফলে এখন চতুর্দিকে সাগর-নদী আর মাঝখানে আমরা।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান জানান, দ্বীপের পশ্চিম অংশে প্রায় অর্ধশতাধিক বসতবাড়ী সাগরে নিচিহ্ন হয়ে গেছে। জরুরী ভিত্তিতে কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে হয়ত আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই পুরোদ্বীপ সাগর-নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। তিনি অবিলম্বে টেকসই ও মজবুত বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
Leave a Reply