হাফেজ মোজাম্মেল হক বাহার,শামলাপুর,টেকনাফ॥
উপকূলে বসবাসকারী সিংহভাগ মানুষের জীবিকার একমাত্র মাধ্যম সাগরে মাছ ধরা। তাদের মধ্যে এমনও কিছু জেলে রয়েছে, যারা কয়েকদিন মাছ ধরতে না গেলে অনাহাওে থাকতে হয় পরিবারের সকলকে। কিন্তু সম্প্রতি মাছ ধরতে গিয়ে সাগরে কিছু ফিসিং ট্রলারের নানান অনিয়মে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে টেকনাফ, শামলাপুর, মনখালী, চেপটখালী সহ উপকূলীয় ছোট নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যাওয়া সকল জেলে সম্প্রদায়। জেলেদের কাছ থেকে জানা যায়, জেলেরা সাগরে মাছ ধরার জন্য জাল ফেললে উক্ত ফিসিং ট্রলার গুলো জেলেদের ফেলানো জালের উপর দিয়ে চলে যায়। যার ফলে জালগুলো ফেটে জালগুলো ক্ষত বিক্ষত হয়ে মাছ ধরার স¤পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়ে। জেলেরা আরো জানায়, উক্ত ট্রলার গুলোর কাছে গিয়ে জেলরা কাকুতি-মিনতির ছলে তাদের জালের উপর দিয়ে না যেতে বললে, ট্রলারে থাকা লোকগুলো তাদের ইঞ্জিনের গরম পানি মারতে শুরু করে। উক্ত ট্রলারগুলোর এরকম অমানবিক নির্যাতনে শিকার হয়ে গত ২০ জানুয়ারী শামলাপুর নৌকা ঘাটের ২জেলে গুরুতর আহত হয়। শুধু তা নয়; উক্ত ট্রলারগুলোর ধাক্কায় বহু নৌকা ভেঙ্গেও গিয়েছে এমন নজির শামলাপুরের উত্তর এবং দক্ষিণের নৌকা ঘাটে অহরহ রয়েছে। সরকারী বিধি অনুযায়ী উক্ত ফিশিং ট্রলারগুলো যাতায়াত সহ মাছ ধরবে উপকূল থেকে ৩ঘন্টা দূরে তথা মাঝ দরিয়ায়। কিন্তু; উপরোক্ত ট্রলারগুলো সরকারী নিয়ম অতিক্রম করে উপকূলের কাছাকাছি এসে মাছ ধরতে যাওয়া ছোট নৌকাগুলোর নানান সমস্যা সৃষ্ঠি করতে চলছে। এ অনিয়মের ছোবলে পতিত হয়ে নিভে যাচ্ছে সুবিধা বঞ্চিত কিছু জেলে সম্প্রদায়ের জীবিকার প্রদীপ। উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রশাসন এ অনিয়মের বিরুদ্ধে বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেবে, এমনি আশ্বাস রাখেন উপকূলীয় সকল জেলে সম্প্রদায়।