হেলাল উদ্দিন,টেকনাফ।..টেকনাফের হ্নীলায় আড়াই মাস আগে নির্মমভাবে নিহত শিশু সোহাগ হত্যা তদন্তে প্রভাব বিস্তারে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ নাকচ করলেন উপাধ্যক্ষ মুহাম্মদ রফিক। মাত্র ৪ দিন আগে নিহত সোহাগের মা রহিমা বেগম কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হত্যা তদন্তে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ এনে অন্যান্যদের সাথে তাঁকেও জড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় স্থানীয় আল-ফালাহ একাডেমীর উপাধ্যক্ষের কক্ষে তিনি এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি তাঁর নামে আনীত অভিযোগ নাকচ করে পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘মূল হত্যাকারী হিসেবে লোকমুখে প্রকাশিত সেই রোহিঙ্গা যুবক নূর হামিদ; সে কার আশ্রয়ে থাকত, কাদের সাথে রাতদিন সিডি দেখত, পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে গেলে রক্ষা করার জন্য জনাব ছালেহ আহমদ মেম্বারের কাছে তদবির করার জন্য কারা গিয়েছিল এবং তার সাথে কারো কোন বাণিজ্যিক হিসাব ছিল কি না- এসব বিবেচনা করলে সহজে ঘটনার কিছু বিষয় বের হয়ে আসবে।’ এছাড়া তিনি ‘মনির হাজীর সেই ভাড়া বাসায় কারা কারা থাকত, কী কী কর্মকান্ড সেখানে সংঘটিত হত’ এমন প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘ছেলে হারার বেদনা কি হতে পারে তা সমাজের সচেতন ব্যক্তি হিসেবে আমিও বুঝি। তবে হত্যার মূল কারণ এবং হোতা কারা তা বের করার জন্য আসুন আমরা পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থার লোকদেরকে সহযোগিতা করি এবং কারো প্রতি ক্রোধের বহি:প্রকাশ না করে সমাজকে সুন্দর করার মানসে সমাজে যাতে এ রকম অপকর্ম, হত্যা, গুম না ঘটতে পারে তার জন্য আমরা সোচ্চার থাকি। আসুন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মূল্য হত্যাকারী বের করার জন্য চেষ্টা করি।’ লেখক: সাংবাদিক,দৈনিক সৈকত