চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা এলাকায় অপহরণের শিকার মাহিমা আক্তার নামে আড়াই বছরের এক শিশুকে অপহরণের দু’দিনের মাথায় উদ্ধার করেছে র্যাব। একইসঙ্গে অপহরণকারী সন্দেহে ওই মেয়েটির ফুপাত বোনের স্বামী সঞ্জয় মিয়াকে আটক করেছে।শুক্রবার গভীর রাতে পতেঙ্গা ১২ নম্বর ঘাট এলাকা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে র্যাব।
র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের কোম্পানি কমান্ডার মেজর রাকিবুল আমিন বাংলানিউজকে জানান, মাহিমা আক্তার নগরীর পতেঙ্গা থানার আকমল আলী রোডের বাসিন্দা জনৈক মাসুদ রানার মেয়ে। মাসুদ রানা বর্তমানে সৌদি আরবে আছেন।গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার সময় মাহিমা একই এলাকায় তার ফুপুর বাসা থেকে নিখোঁজ হয়। দীর্ঘসময় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বিকেলে তার মা বিষয়টি র্যাব কার্যালয়ে জানান।
এরমধ্যে মাহিমার ফুপাত বোনের স্বামী সঞ্জয় র্যাবকে জানায়, মাহিমা আক্তার অপহরণের শিকার হয়েছে। তার শালীর মোবাইলে ফোন করে অপহরণকারীরা দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে।
এরপর শুক্রবার রাতে সঞ্জয়কে শিশুটিসহ পতেঙ্গার ১২ নম্বর ঘাট এলাকা থেকে আটক করেন র্যাব সদস্যরা।
মেজর রাকিবুল জানান, সঞ্জয় মেয়েটিকে কোথায় পেয়েছে জিজ্ঞেস করলে তিনি র্যাবকে জানান, নদীর অপর পাড় থেকে ৭৫ হাজার টাকা অপহরণকারীদের দিয়ে তিনি মেয়েটিকে উদ্ধার করে এনেছেন। এ সময় র্যাব সদস্যরা সঞ্জয়েরশরীরে তল্লাশি করে ৪৭ হাজার টাকা পায়। এতে র্যাব সদস্যদের কাছে সঞ্জয়ের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ হয়।
মেজর রাকিবুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘সঞ্জয় নিজেই টাকার জন্য এ অপহরণ নাটক সাজিয়েছিল বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। কারণ পেশাদার অপহরণকারীরা কখনও পাঁচ লাখ টাকার নিচে মুক্তিপণ দাবি করে না।’
এ ঘটনায় সুহাস নামে সঞ্জয়ের এক সহযোগীকেও আটক করা হয়। তবে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দিয়েছে র্যাব।
এ ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন মেজর রাকিবুল।
Leave a Reply