ভোটার ফরমের তীব্র সংকটে প্রাপ্ত বয়স্ক ভোটার যোগ্য প্রকৃত বাংলাদেশী নাগরিকদের দ্বিগবিদিক ছুটোছুটি,বর্তমান ভোটার হালনাগাদেও যখন নাম উঠাতে না পারার সঙ্খা, এরই ফাঁকে অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৩) নবম শ্রেনির এক স্কুল ছাত্রীকে গোপনে চলমান ভোটার হালনাগাদে অন্তর্ভূক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়ায়।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়ায় তথ্যসংগ্রহকারী শাহপরীর দ্বীপ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আজম উল্লাহ এবং সুপারভাইজার শাহপরীর দ্বীপ হাজী বশির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সেলিম উল্লাহ। তথ্যসংগ্রহকারী আজম উল্লাহ ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় মিস্ত্রিপাড়ার ফারজানা আকতার, পিতাঃ মোঃ আমিন, মাতাঃ রোকেয়া বেগমকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করে সুপারভাইজারের হাতে জমা দিলে সুপারভাইজারও যাচাই বাছাই (!) শেষে ফরমে তার নিজ স্বাক্ষর প্রদান করে। ভোটার হালনাগাদে তার বয়স দেখানো হয়েছে ১৮ বছর এবং এর স্বপক্ষে জন্ম নিবন্ধন সনদও সংগ্রহ করে। গত ১৩ নভেম্বর ’১২ ইং তারিখে ফারজান আকতার সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে ছবি তোলার মাধ্যমে তার ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্তির চূড়ান্ত পর্যায় শেষ করে। দিবালোকের মত স্পষ্ট যে, ফারজানা আকতার শাহপরীর দ্বীপ হাজী বশির উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনির বিজ্ঞান শাখার একজন নিয়মিত ছাত্রী। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, অভিভাবক কেন মিথ্যা তথ্য দিয়ে একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে ভোটার তালিকায় নাম উঠালো, তথ্যসংগ্রকারী কেন একজন স্কুলছাত্রীকে ভোটার হালনাগাদে নাম লেখালো। আরো প্রশ্ন উঠেছে সুপারভাইজার নিজ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ফারজানাকে কেনইবা চিনলনা ? তথ্যসংগ্রহকারী ও সুপারভাইজার যদি জেনেশুনে এমনটি করে থাকে তাহলে কিসের লোভে এমনটি করেছে তারা ? এলাকাবাসী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানিয়েছেন, তথ্যসংগ্রহকারী ও সুপারভাইজার মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে ফারজানা আকতারকে ভোটার করিয়েছেন। এদিকে মিস্ত্রিপাড়ার অনেক প্রাপ্তবয়স্ক যুবক ভোটার হতে গেলে তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজার ফরম সংকটের কথা বলে তাড়িয়ে দিয়েছে। অথচ ১৩ বছরের স্কুল ছাত্রীকে ভোটার করতে ফরম কোথায় পেল তারা, এ প্রশ্নের উত্তর দেবে কে ? বিষয়টি তদন্তপূর্বক দ্রুত সুরাহা চায় এলাকাবাসী।
এছাড়াও চলমান ভোটার হালনাগাদে অনেক তথ্য সংগ্রহকারী, সুপারভাইজারদের বিরুদ্ধে ভোটারের কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহণ, স্বজনপ্রীতি, রোহিঙ্গা অন্তর্ভূক্তি ও এবছর এস,এস,সি পাশ অনেক অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ভোটার হালনাগাদে অন্তর্ভূক্তির অভিযোগ উঠেছে।
১০০’/. সঠিক খবর ।
আচ্ছা,ভোটার হওয়ার জন্য প্রধান শর্ত কোনটা?জন্মনিবন্ধন নাকি স্কুল সনদ?আমার ধারনা,স্কুলে না পড়েও ১৮ বৎসরের নিচে অনেকে জন্মসনদ সংগ্রহ করে ভোটার হয়েছেন।কি সত্যি বললাম তো?
akdom tik bolcen.