জেড করিম জিয়া :
টেকনাফ উপজেলায় টানা বর্ষণ আর পূর্নিমার জোয়ারের নোনা পানিতে যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ পুরো শাহপরীরদ্বীপ প্লাবিত হয়ে পানি বন্দী হয়ে আছে ৪০ হাজার মানুষ। এসব মানুষগুলোর চারিদিকে পানি আর পানি হলে ও এখন চলছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট ।সাগরের লবণাক্ত পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় ফলে নলকূপ ও পাতকুয়াগুলোর পানি ক্রমান¡য়ে লবণাক্ত হয়ে মানুষকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হাচ্ছে, এতে এলাকার তীব্র খাওয়ার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সচেতনতার অভাবে অনেকে নোংরা পানি পান করে ডায়রিয়া, জন্ডিসসহ নানা পেটের পীড়া রোগাক্রান্ত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট এলাকা ঘুরে জানা গেছে, নাফনদী ও বঙ্গোপসাগরে অস্বাভাবিকভাবে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার নলকূপ ও পাতকূয়ায় লোনা জল প্রবেশ করায় এখন গৃহস্থলী কাজে ব্যবহারে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে সাবরাং ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া, পানছড়িপাড়া, শাহপরীর দ্বীপের জালিয়াপাড়া, ঘোলাপাড়া,
মাঝরপাড়া, দক্ষিণপাড়া, পশ্চিমপাড়াসহ অধিকাংশ এলাকার নলকূপ ও পাতকুয়ায় লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়েছে। এসব গ্রামের ৪০হাজারের বেশি মানুষ দুই থেকে তিন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আশপাশের এলাকার পুকুর, পাহাড়ি ঝার্ণা, নলকূপ ও পাতকূয়া থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করতে প্রতিদিন দুপুর-সন্ধ্যায় বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ, কিশোরী, শিশুরা মাথা, কান্দে, কোমড়ে কলসি নিয়ে পায়ে হেঁেট জারিকেনভর্তি করে ভ্যানগাড়ি ও রিকসা যোগে দুই-তিন কিলোমিটার দূর থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
শাহপরীর দ্বীপের দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী ও মাওলানা নুরুল হক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জলোচ্ছাসে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওযার পর থেকে প্রতিমাসে দুইবার পূণিমা-অমবস্যার জোয়ারে সাগরের লোনাপানি ডুকে আমাদের নলকূপগুলো লবণাক্ত হয়ে গেছে। এখন উচু জায়গার পুকুর ও নলকূপ থেকে কান্দে করে জারিকেন দিয়ে পানি সংগ্রহ করে নিত্যপ্রয়োজনী কাজে ব্যবহার ও খাইতে হচ্ছে। কিন্তু রাতের বেলায় বৃষ্টি হলে সেই পানি খাইতে হয়। না হলে বাধ্য হয়ে লবণাক্ত নলকূপ থেকে পানি খেতে হয়। এর কারণে ডায়রিয়াসহ পেটের পীড়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এলাকার লোকজন।
টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক আব্দুল মান্নান