এটি এন ফায়সাল , টেকনাফ
সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় সর্তক সংকেত বিদ্যমান থাকার পরও তা উপেক্ষা করে শাহপরীর দ্বীপ পূর্বপাড়া দিয়ে গভীর রাতে মালয়েশিয়াগামী যাত্রী ইঞ্জিন নেওকায় করে ট্রলারে তুলে দেওয়ার সময় দূঘর্টনার কবলে পড়েছে। এতে কমপক্ষে ১জন নিখোঁজ রয়েছে এবং প্রায় ৭জন যাত্রী কূলে ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র দাবী করছে। তবে সরকারী কোন সূত্র এর সত্যতা স্বীকার করেনি। এ নিয়ে এলাকায় তুমুল হৈ ছৈ চলছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানাযায়-২১নভেম্বর ভোররাত আড়াইটার দিকে উপকূলীয় সীমান্ত জনপদ টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপস্থ পূর্বপাড়া ঘাট দিয়ে স্থানীয় মাহমুদ উল্লাহ মাঝির পুত্র শফিক আহমদ দালালের মাছ ধরার ইঞ্জিন নৌকায় ২০/৩০জন করে মালয়েশিয়া যাত্রী বড় ট্রলারে তুলে দিতে যাওয়ার সময় ঘোলার চরে ধাক্কা খেয়ে ৬০জন যাত্রী নিয়ে ১টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা ঊলটে যায়। এতে ডেইল পাড়ার মোহাম্মদ ইউনুছের পুত্র তৈয়ুব, দালাল আইয়ুব,ইয়াকুবের পুত্র আবুল কাশেম, আবু ছৈয়দ, কালাপুতুর পুত্র দালাল-শফিক,মীর আহমদের পুত্র কেফায়েত উল্লাহ, কোনার পাড়ার জহির আহমদের ছেলে আইয়ুব খান কূলে আসতে পারলেও ডেইল পাড়ার কামালের পুত্র আব্দুল ফরিদ নিখোঁজ রয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি ইঞ্জিন নৌকা দূঘর্টনায় নিখোঁজ ও ফিরে আসার সত্যতা স্বীকার করেন। তবে অপরাপর ৫২ যাত্রী মালয়েশিয়াগামী যাত্রী ট্রলারে তুলে দেওয়ার জন্য যাত্রা করে। স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে জানায় কোনার পাড়ার চৌকিদার ছৈয়দ করিমের পুত্র মোঃ আমিন, মিস্ত্রী পাড়ার মোহাম্মদ হোছনের পুত্র মোঃ আমিন,আলী আহমদের পুত্র আব্দুল মতলব, বাজার পাড়া হাজি ছালেহ আহমদের পুত্র মোঃ ইসমাঈল,সোনালী বলির পুত্র আব্দুস সালাম, আব্দুল গনির পুত্র নুর হাকিমসহ অন্য দালালেরা বিভিন্ন এলাকা হতে লোকজন সংগ্রহ করে মালয়েশিয়া পাচার করছিল।
উল্লেখ্য গত কয়েকদিন ধরে সরকার চট্টগ্রাম,কক্সবাজার,খুলনা-বরিশাল উপকূলীয় এলাকায় ৩নং সর্তক সংকেত জারি করলেও আদম পাচারকারী দালার চক্র বেপরোয়া হয়ে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে কৌশলে আদম পাচারে লিপ্ত থাকায় নিখোঁজ ও অপমৃত্যুর ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। চিহ্নিত এসব দালালদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্থিমুলক পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। ############
Leave a Reply