দরিয়ানগর খ্যাত কক্সবাজার শহরের যানজট নিরসনে প্রশাসনের স্বদিচ্ছায় কয়েক বছর আগে বাস, ট্রাক, জীপ, মিনিবাস, পিকআপ ভ্যানসহ হালকা ও ভারি যানবাহন টার্মিনাল থেকে যাতায়াত শুরু করে। যা পর্যটন শহরকে অনেকটা পরিবেশ দূষণমুক্ত থেকে শুরু করে যানজট মুক্ত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেন। ফলে পৌরবাসি যানজটের করাল গ্রাস থেকে অনেকটা মুক্ত। কিন্তু এ সুযোগে রিক্সা, টমটম, সিএনজিসহ শহরের অভ্যন্তরীণ সড়কে চলাচলকারী বাহনের চালকরা নিজেদের ইচ্ছেমত ভাড়া আদায় করে যাচ্ছে। তাদের বেপরোয়া আচরণে প্রতিনিয়ত লাঞ্ছিত হচ্ছে স্বাস্থ্যকর স্থানে স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলতে আসা পর্যটকরা। অন্যদিকে শহরের কর্মব্যস্ত মানুষগুলোও প্রায় সময় ভাড়া নিয়ে অসাধু চালকদের সাথে প্রতিনিয়ত তাকে লিপ্ত হচ্ছে। শহরবাসির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পৌর কর্তৃপক্ষ শহরে বিভিন্ন সড়কে যাতায়তকারী এসব যানবাহনের ভাড়া বচর দেড়েক আগে নির্ধারণ করে দিলেও থেমে নেই এসব চালকদের দৌরাত্ম। তারা যে যার কাছে যেভাবে পাচ্ছে সেভাবেই ভাড়া আদায় করছে। গতকাল সরেজমিনে শহরের অভ্যন্তরীণ সড়ক-উপসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পৌর কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা সম্বলিত সাইনবোর্ড চোখে পড়লেও মূলত এগুলো কেউ মানছে না। যার ফলে ইচ্ছেমত ভাড়া আদায় করছে চালকরা। থেমে নেই তাদের অত্যাচার। অনেক যাত্রী মান সম্মানের ভয়ে নিরবে ভাড়া দিয়ে দিলেও কেউ কেউ চালকদের সাথে তর্কে লিপ্ত হচ্ছে। অপরদিকে দিনদিন শহরে অবৈধ রিক্সা, টমটম ও সিএনজি বাড়ছে আশংকাজনক হারে। পাশাপাশি এ সমস্ত অবৈধ গাড়িতে রয়েছে অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালক। ফলে থেমে নেই দেনন্দিন দূর্ঘটনা ও যানজট। এসব অদক্ষ চালকদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ পৌরবাসি। অপরদিকে ট্রাফিক পুলিশের নমনীয়তার সুযোগে আবারো সন্ধ্যার পর থেকে বাতিবিহীন রিক্সা, টমটম চলতে দেখা যাচ্ছে নিজস্ব গতিতে। ফলে কর্তৃপক্ষের নিয়মিত নজরদারি প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতন মহল।
===========