বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকার রাজি হলেও এক্ষেত্রে শরণার্থীদের পরিচয় যাচাই করে দেখবে তারা। ঢাকায় মিয়ানমারের নতুন রাষ্ট্রদূত ইউ মিন থান বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে বৈঠকে দীর্ঘ দিনের এই জটিলতা কাটাতে তার দেশের সরকারের সদিচ্ছার কথা প্রকাশ করেন বলে মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, “যাচাই-বাছাইয়ের পর শরণার্থী শিবিরে থাকা এবং তালিকায় নাম না থাকা মিয়ানমারের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে তার সরকারের সদিচ্ছার কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত।“ প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমারে রাজনৈতিক সংঘাতের কারণে দুই যুগ আগে ইসলাম ধর্মাবলম্বী রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঢোকা শুরু হয়। বর্তমানে কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে ২৫ হাজারের মতো থাকলেও বাইরে ৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে বলে সরকারের হিসাব। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে আহ্বান জানিয়ে এলেও তাতে কার্যকর সাড়া মিলছে না। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের সে দেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিতেও অনীহার কথাও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে জানিয়ে আসছে।
নতুন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতেই দীপু মনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবসনের বিষয়টি পুনরায় তুলে ধরেন। মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি এবং সাম্ú্রতিক রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রশংসা করে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশে আসা মানুষদের ফিরিয়ে নেবে ইয়াঙ্গুন।
এক মাস আগে রাখাইন প্রদেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রাখাইনদের সঙ্গে দাঙ্গার পর রোহিঙ্গারা পুনরায় ব্যাপক হারে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা চালায়। তখন বাংলাদেশ সীমান্তে কড়া পাহারা বসায়।
দীপু মনি জাতিগত দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে মিয়ানমার সরকারের নেওয়া পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেন। অন্যদিকে রাখাইন প্রদেশের সঙ্কট সমাধানে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
আসন্ন রমজানের পর মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফরে আসবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত ১৫ জুলাই মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেন সেইনের ঢাকা আসার কথা থাকলেও রাখাইন প্রদেশে দাঙ্গার কারণে তা পিছিয়ে যায়।
তবে….? এই তবে‘র শেষ কোথায়?