মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করছে। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেশটির তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। রোহিঙ্গা-রাখাইন সাম্প্রদায়িক সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে সে দেশের সরকার এ পথে এগোনোর বিষয়টি বিবেচনা করছে বলেই মনে হচ্ছে। তবে রাখাইনরা এ ধরনের
যেকোনো উদ্যোগের বিরোধিতা করবে।
মিয়ানমারের তথ্যমন্ত্রী উ অং কাই সাক্ষাৎকারে বলেন, সরকার দ্রুত এই সংঘাত নিরসনের চেষ্টা করছে। কারণ
সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা ইস্যুটি দেশটির গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তথ্যমন্ত্রী দাবি করেন, রাখাইনরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সহিংসতা ঘটায়নি। পরিস্থিতি এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
উ অং কাই বলেন, ‘এখন অনেকেই মনে করছেন, আমরা খুব শিগগির এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে পারব। পাশাপাশি এমন একটা সমাধানও করা সম্ভব, যেখানে সবাই লাভবান হবে।’ তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার নেই বলে নাগরিকত্বের কোনো সুযোগ-সুবিধাও তাদের নেই।
মিয়ানমারের কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, সরকার বর্তমানে তৃতীয় প্রজন্মের রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে। কারণ, এই প্রজন্মকে ইতিমধ্যে মিয়ানমার সরকারের আইনে আনা হয়েছে। কিন্তু আগের দুই প্রজন্মের হাজার হাজার রোহিঙ্গার বেলায় কী করা হবে সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
এদিকে নাগরিকত্ব প্রদানের বিবেচনাটি রাখাইনদের দ্বারা বাধার সম্মুখীন হবে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। এ ক্ষেত্রে বিরোধীদের যুক্তি হতে পারে, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হলে দেশের আইনকানুনকে অবমাননা করা হবে।
গত ১০ দিনে মিয়ানমারে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় অন্তত ৮৯ জন প্রাণ হারিয়েছে। ভিটেহারা হয়েছে প্রায় ২৮ হাজার মানুষ। এই অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করে। পাশাপাশি দাঙ্গা বন্ধে আহ্বান জানায় মিয়ানমার সরকারের প্রতি। সূত্র : টেলিগ্রাফ।
Leave a Reply