নীতিশ বড়–য়া,রামুতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে নবসাজে নির্মিত বৌদ্ধ বিহারের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন সেনাবাহিনী চট্টগ্রাম ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল সাব্বির আহমদ। তিনি মঙ্গলবার (২ জুলাই) উপজেলার উত্তর মিঠাছড়ি বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র, মৈত্রী বিহার, লাল চিং, সাদা চিং, অপর্ণা চরণ চিংসহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন শেষে বিকাল ৪টায় রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের অধ্য পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের ও বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় জিওসি বলেন, আধুনিক স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত বিহার গুলোর কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। সামান্য রঙের কাজ ছাড়া আর কোন কাজ নাই। এখন শুধু উদ্বোধনের অপো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিহার গুলোর উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। এ সময় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ রুহুল আমিনও রামুতে পুনঃনির্মিত বৌদ্ধ বিহারসমুহ পরিদশর্নে আসেন। মতবিনিময় কালে রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহরের অধ্য, পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের জানান, বিহার নির্মাণ নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সেনাবাহিনীর আন্তরিকতার কোনো অভাব ছিলনা। ১৭ইসিবি খুব সুন্দর ভাবে কাজ সম্পন্ন করছে। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সেনাপ্রধানসহ যারা অকান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাদের সকলের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু কামনা করে বর্তমান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রের অধ্য করুনাশ্রী ভিু সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দো’তলা পাকা ভবন ও প্রতিষ্ঠানের কম্পাউন্ডকে পুন্যার্থী ও পর্যটক আকর্ষন করতে দৃষ্টি নন্দন করে সাজিয়ে তোলায় জিওসিসহ সংশ্লীষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ধ্বংসস্তুপের মাঝে অল্প সময়ে রামুর তিগ্রস্থ বৌদ্ধ বিহারগুলো দৃষ্টি নন্দন করে গড়ে তোলায় জিওসিসহ সকল সেনা কর্মকর্তা ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রামু কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ ঐক্য ও কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তরুন বড়–য়া। জিওসি’র সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের পরিচালক ব্র্রিগেডিয়ার সামশ্ খান, ৬৫ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্র্রিগেডিয়ার আশরাফুল কাদের চৌধুরী, সেনাবাহিনী ১৭ ইসিবি কক্সবাজারের অধিনায়ক লে. কর্নেল জুলফিকার রহমান, মেজর আনোয়ার প্রমুখ বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর রামু, উখিয়া, টেকনাফ ও পটিয়ায় বৌদ্ধ বিহার, বসতিতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
#####