কক্সবাজারের আসন নিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রামুর খিজারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সম্প্রীতি সমাবেশ শুরু হয়েছে শনিবার বিকেল ৪টায়। এর আগে দুপুর ৩টা ১০ মিনিটে রামু পৌঁছে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর।
এর আগে সকাল পৌনে ১১টায় বেগম জিয়ার গাড়িবহর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে বের হয়। পথে খালেদা জিয়া চকরিয়ায় একটি পথসভায় বক্তব্য দেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় রামুর বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেছেন তিনি। এরপর বিকেল ৪টায় রামু খিজারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একটি সম্প্রীতি সমাবেশে অংশ নিয়ে বিকেল ৫টায় কক্সবাজার সার্কিট হাউসে আসবেন।
রোববার সকাল ১০টায় উখিয়া বৌদ্ধবিহার পরিদর্শন শেষে সেখানে একটি জনসভায় ভাষণ দেবেন খালেদা। এরপর বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হবেন।
বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে পৌঁছে পটিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর তিনি সড়ক পথেই ঢাকার উদ্দেশে চট্টগ্রাম ত্যাগ করবেন।
খালেদার সঙ্গে আছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আবদুল্লাহ আল নোমান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, সাদেক হোসেন খোকাসহ বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
এদিকে ফেনীতে দলীয় কোন্দলে ককটেল বিস্ফোরণ সহ অপ্রীতিকর ঘটনার পর চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার যাত্রাপথে সতর্ক অবস্থায় আছে পুলিশ। তিনি যাতে নির্বিঘ্নে কক্সবাজারে পৌঁছাতে পারেন সেজন্য পুলিশ বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
পুলিশের আশঙ্কা, দলীয় কোন্দলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সেটা থেকে চট্টগ্রামে পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীলতা তৈরি করা হতে পারে। আর এর সুযোগ নেবে নাশকতাসহ অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টায় উন্মুখ হয়ে থাকা সুযোগসন্ধানী মহল।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘বিরোধী দলীয় নেত্রী দক্ষিণ চট্টগ্রামের ওপর দিয়েই কক্সবাজার যাচ্ছেন। এ যাত্রাপথে প্রত্যেক থানাকে সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেসব থানা অতিরিক্ত ফোর্স চেয়েছে তাদের বাড়তি ফোর্স দেওয়া হয়েছে।’’
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার আব্দুল মান্নান বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘বিরোধী দলীয় নেত্রীর সার্কিট হাউস থেকে তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু পার হওয়ার পুরো পথে থানা পুলিশের পাশাপাশি তিন শতাধিক অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’’
তবে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির আশঙ্কা নেই উল্লেখ করে নগর বিএনপির সভাপতি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘চট্টগ্রামের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ও অনেক বেশি সহনশীল। তাই এখানে বিশৃঙ্খলার কোনো সুযোগ নেই। কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলে নেতাকর্মীরাই সেটা প্রতিহত করবেন।’’
Leave a Reply