:পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে উখিয়া বাজার থেকে মিয়ানমারে বাধাাহীন ভাবে পাচার হয়ে যাচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রী। এতে উখিয়া থানা পুলিশের কতিপয় কর্মকর্তার মাসিক চুক্তিতে এসব ব্যবসায়ীকে মিয়ানমারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রী পাচার কাজে সহযোগিতা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চক্র চোলা, চিনি ও ভোজ্যতেল মজুদ করে সুযোগ বুঝে এসব পণ্য সামগ্রী সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পাচার করছে। আর এ নিত্যপন্য সামগ্রীর বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে আসছে ইয়াবা সহ বিভিন্ন ব্যান্ডের মাদকদ্রব্য। এ অবস্থা প্রকাশ্যে বিদ্যমান থাকলেও প্রসাশনের ভূমিক রহস্যজনক। টেকনাফ ৪২ বিজিবি সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা রোহিঙ্গা বস্তি সংলগ্ন ৩ টি মুদির দোকান, ঘরে অভিযান চালিয়ে গত ৪ জুলাই দুপুরে ৩২৩ বস্তায় প্রায় সাড়ে ১৬ মেক্টিক টন চাল জব্দ করে। এ সময় পাচারে মজুদ করা ও জড়িত থাকার অভিযোগে দোকানদার মো: হোছনকে আটক করে। ২ জুলাই রাতে একই ভাবে টেকনাফের দমদমিয়ার মোছনি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪৮২ বস্তা বা প্রায় সাড়ে ২৪ মেক্টিক টনের মত চাউল আটক করে এবং পাচারে জড়িত থাকার দায়ে এ সময় ১ জনকে আটক করা হয়। উখিয়া উপজেলা সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বসবাসরত গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, মিয়ানমার সীমান্তের মংডু টাউনশীপের আওতাধীন বলী বাজার, নাইছাদং, তুমব্র“, বালুখালী, সাহাব বাজার, ফকিরা বাজার,নাগপুরা, চাইনদং, ওয়ালিদং, আব্রাম, কোয়াংচিবং, সহ প্রায় অর্ধ শত গ্রামের আরকানি মুসলিম সম্প্রদায় মূল খন্ড থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন অবস্থায় বসবাস করে আসছে যুগ যুগ ধরে। তারা তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী এ দেশ থেকে চোরাই পথে সংগ্রহ করে চাহিদা পূরণ করে থাকে । যেমন, তেল, চিনি, চোলা, সার, ভোজ্যতেল, খাবার জাতীয় ও প্রসাধণী সামগ্রী। আর এর বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে আসছে ইয়াবা সহ বিভিন্ন ব্যান্ডের মাদক। প বিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে এর মাত্রা আরো বেড়েছে। উখিয়া সদর সহ ৪/৫ টি পাইকারী দোকান থেকে প্রতিদিনই চোলা, চিনি ও ভোজ্যতেল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রী বানের পানির মত মিয়ানমারে পাচার হয়ে গেলেও সীমান্ত রক্ষীরা খুব কম সংখ্যক পন্য সামগ্রী উদ্ধার করতে সক্ষম হচ্ছে। সীমান্তের ঘুনধুম বিডিআর ক্যাম্পের সুবেদার আবুল বাশার বলেন, চোরাচালানীরা মোবাইল যোগাযোগের মাধ্যমে বিজিবি টহল পার্টির অবস্থান সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে রুট পরিবর্তন করে। যার প্রেক্ষিতে চোরাচালানীদের সহজে ধরা যাচ্ছেন্।া এদিকে উখিয়ার একাধিক অসাধু ব্যবসায়ী শুধুমাত্র ট্রেডলাইসেন্স এর অনুবলে প্রতিদিন শত শত ব্যারেল ভোজ্যতেল শহর থেকে ক্রয় করে এনে গুদামজাত করে রাখছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত রিক্সা, ভ্যান, টেক্সি, টেম্পু ও জীপ গাড়ীতে করে শত শত কন্টেনার ভর্তি তেল উখিয়ার ডাকবাংলো সড়ক ও দরগাহ বিল সড়ক দিয়ে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে চলে যেতে দেখা গেছে। জানা গেছে, রমজানকে সামনে রেখে সীমান্তের কতিপয় মুদির দোকানি ব্যবসার নাম করে এসব ভোজ্যতেল নিয়ে গেলেও এসব তেল রাতের আধারে পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানান। আর এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে প্রতিদিন আসছে ইয়াবা সহ বিভিন্ন ব্যান্ডের মাদক। সম্প্রতি উখিয়া উপজেলার আইন শৃংখলা কমিটির সভায় সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি সীমান্ত রক্ষীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সীমান্তে কড়া কড়ি আরোপ করুণ। যাতে চোলা, চিনি ও ভোজ্যতেল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী মিয়ানমারে পাচার হতে না পারে। এসময় তিনি ব্যবসায়ীদের প্রতি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, চোলাচালানীদের তেল বিক্রি করার ঘটনা হাতে নাতে প্রমাণ হলে ঐ সব ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স বাতিল সহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু সাংসদ আবদুর রহমান বদির হুশিয়ারীও কোন কাজে আসছেনা। প্রতিদিনই মিয়ানমারে পাচার হচ্ছে তৈল, চিনি, চোলা সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা জানান, সুনিদ্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply