মমতাজুল ইসলাম মনু টেকনাফ (টেকনাফ নিউজ ডটকম)
নাসাকার হাতে অপহৃত ৭টি নৌকাসহ ৮ বাংলাদেশী জেলে দীর্ঘ আড়াই মাসেও ফিরে আসেননি। ১৬ সেপ্টেম্বর নাফনদীতে মাছ ধরতে গেলে নৌকাসহ ওই জেলেদের অপহরন করে সীমান্ত রক্ষীবাহিনী নাসাকা বাহিনী। অপহৃত নৌকার মালিক ও পরিবারের সদস্যরা তাদের ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও কোন তথ্য মিলেনি অপহৃত পরিবারের কাছে। নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের সদস্যরা জানান, ২১ নভেম্বর শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়ার নৌকা মালিকরা জেলেদের ফিরিয়ে আনতে টেকনাফের বিজিবির শাহপরীদ্বীপ বিওপির কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার মোহাম্মদ জাকারিয়ার মাধ্যমে টেকনাফ ৪২ বিজিবির অধিনায়ক বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন শাহপরীরদ্বীপের জালিয়া পাড়া এলাকার কালাম নামক এক জেলে প্রতিনিধি। আবেদনকারীরা তারা জানান, ১৬ সেপ্টেম্বর শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়ার আলী জোহার, মো. তৈয়ব, আবদুস শুকুর, আয়ুব আলী, হায়দর আলী, মো. ইসলাম ও মো. উল্লাহর মালিকানাধীন নৌকা নিয়ে ওই জেলেরা নাফ নদীতে মাছ শিকারে যান। কিছু জেলে নদী থেকে মাছ নিয়ে কূলে ফিরলেও ৮ জেলের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি অদ্যাবধি। ধারণা, করা হচ্ছে-ওইদিন সন্ধ্যায় মিয়ানমারের নাসাকা বাহিনী নৌকা ও জাল রেখে জেলেদের অপহরণ করে নিয়ে গেছে। অপহৃত জেলেরা হলেন টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়ার আবদুল মোনাফের ছেলে সৈয়দ কাছিম, সোলতানের ছেলে জাবেদ আলম, লাল মিয়ার ছেলে আয়ুব আলী, মো. সৈয়দের ছেলে মো. আবদুল্লাহ, সালামত উল্লাহর ছেলে হাবিব উল্লাহ, হোসেন আহমদের ছেলে মনু, আলতাফ হোসনের ছেলে জাকির হোসেন ও মকতুল হোছনের ছেলে নবী হোছন। জেলেদের ফেরত চেয়ে বিজিবির শাহপরীরদ্বীপ ফাঁড়ির মাধ্যমে ৪২বিজিবির সদর দপ্তরে অধিনায়ক বরাবরে একটি লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন বলেন জানান নৌকার মালিক আলী জোহার, মো. তৈয়ব ও আবদুস শুকুর। বাংলাদেশী জেলে অপহরণের সর্বশেষ খবর জানতে ৪২ বিজিবির কমান্ডিং অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে তাঁকে ফোনে না পাওয়া যাওয়াই বিষয়টি নিয়ে ৪২ ব্যাটালিয়ন টেকনাফ সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে নাসাকাকে দুই দফা চিঠি প্রেরণ করেও সেদেশের এ সীমান্ত বাহিনীর দপ্তর থেকে কোন সদোত্তোর মিলেনি বলে জানান শাহপরীরদ্বীপ বিওপির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মোহাম্মদ জাকারিয়া। ====
Leave a Reply