এড. ফারুক ইকবাল, মহেশখালী:::মহেশখালী থানার ওসির বিরুদ্ধে বিগত ৯ জুলাই তারিখ জনৈকা তৈয়বা বেগম বাদী হয়ে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১০ ধারা মোতাবেক একখানা মামলা দায়ের করেন। যাহার সি.পি মামলা নং ৫৭৪/২০১৩। উক্ত মামলা বিজ্ঞ আদালত আমলে নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য মহেশখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটকে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। ইতিমধ্যেই ওসি মামলার খবর জ্ঞাত হয়ে জনৈকা তৈয়বা বেগমকে হুমকি প্রদর্শন করতে থাকে। বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা জড়ানোর অব্যাহত হুমকির মুখে বর্তমানে তৈয়বা বেগম তার বসতবাড়ী ছেড়ে আতœগোপনে চলে যান বলে এলাকাবাসী জানান এবং জনৈকা তৈয়বা বেগম এর মামলার স্বাক্ষীদেরকে ওসি হাবিব মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানী করার হুমকি প্রদর্শন করায় ইতিমধ্যে স্বাক্ষীরা ভয়ে সন্ত্রস্থ অবস্থায় রয়েছে। অন্যদিকে অপর মামলার বাদী এড. ফারুক ইকবাল বিগত ৯ জুলাই ২০১৩ ইং তারিখ বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মহেশখালী থানার ওসি হাবিবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন সচিবকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেন। ইত্যবসরে ওসি হাবিব আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ২ মামলার ২ বাদীকে এবং তাদের স্বাক্ষীদেরকে হুমকি প্রদর্শন করিতেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোন ফৌজদারী মামলা সরকারী কর্মকর্তা বা পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করলে সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনিক এলাকায় বিভাগীয় ব্যবস্থা হিসাবে প্রাথমিকভাবে তাদেরকে কোজ করা হয়। কিন্তু মামলার আসামী পুলিশ কর্মকর্তারা এখনো স্ব-পদে এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক এলাকায় বহাল থাকা ন্যায় বিচারের পরিপন্থী বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করে। ওসি হাবিবের অব্যাহত হুমকির মুখে বর্তমানে থানা কর্তৃপক্ষের কাছে কোন সাধারণ নাগরিক অভিযোগ নিয়ে যেতে সাহস পাচ্ছে না। এমতাবস্থায় ওসি হাবিবকে অনতি বিলম্বে মহেশখালী থানা থেকে প্রত্যাহার করার জন্য সাধারণ জনগণ জোর দাবী জানাচ্ছে।