নিজস্ব প্রতিনিধি মহেশখালী=
মহেশখালীতে এক এতিম মেধাবী মাদ্রাসার ছাত্রীকে মাদকসেবির সাথে বিয়ে করতে বাধ্য করায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আর ঘটনাটি ঘটেছে, মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পানিরছড়া গ্রামে। আত্মহত্যাকারী এতিম ছাত্রী হোয়ানক ইউনিয়নের পানিরছড়া গ্রামের কালা মিয়ার মেয়ে জয়নব মোস্তফা (১৭)। সে পানিরছড়া দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন ঘুরে এসে জানা যায়, নিহত জয়নব মোস্তফার পিতা কালা মিয়ার ৩জন স্ত্রীর মধ্যে ২য় স্ত্রীর প্রথম মেয়ে জয়নব আর ২ ভাই রয়েছে। জয়নবের মা গত রমজান মাসে মারা যাওয়ার পর পিতা কালা মিয়া একই ইউনিয়নের রাজুয়ার ঘোনা নামক স্থানে জয়নব এর বিধবা ছোট খালার সাথে পরকিয়া প্রেমের সাথে লিপ্ত। এ কারণে খালাকে বিয়ে করতে তিন মাস থেকে রাতে বাসা বাড়িতে থাকে না পিতা কালা মিয়া জানান প্রতিবেশীরা। একই সাথে কালা মিয়া তার মাদ্রাসা পড়–য়া ছাত্রী জয়নবকে খালাত ভাইয়ের সাথে বিয়ে দিতে চায়। খালাত ভাই মাদক সেবন ও জুয়া খেলার সাথে জড়িত থাকায় জয়নব এ বিয়ে করতে অনিচ্ছার কথা প্রকাশ্যে নিকট চাচী ও আতœীয় স্বজনের কাছে জানায়। এসব কথা গুলি জানিয়েছে আত্মহত্যাকারী জয়নব এর চাচী ছকিনা বেগম।
অপরদিকে চাচা দুলা মিয়া জানায়, কালা মিয়ার বসতবাড়ি বিক্রয় করার জন্য ২মাস পূর্ব থেকে ঘোষণা দিলে মেয়ে জয়নব তা বাধা প্রদান করে। তার কথা ছিল মা না থাকায় ২ ভাই নিয়ে বাবার এক খন্ড ভিটাবাড়ির জমিতে শেষ আশ্রয় হিসাবে থাকবে। জয়নবকে একজন মাদকসেবির সাথে বিয়ে এবং বাবা ভিটাবাড়ি বিক্রয় করে শেষ আশ্রয়টি বঞ্চিত করার অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করে এলাকাবাসি।
১০ জুন রাত ৮টায় মেয়েটি আত্মহত্যা করলে বাবা প্রথমে কোন আত্মীয় স্বজনকে না জানিয়ে গভীর রাতে পুলিশ নিয়ে গিয়ে জয়নবের মৃত দেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে ময়না তদন্তের জন্য পুলিশ লাশ মর্গে পাঠিয়েছে। এলাকাবাসি সুত্রে প্রকাশ, সকাল থেকে আত্মহত্যাটি যেন নিয়মিত মামলা না হয় এজন্য পিতা টাকার মিশনে নেমেছে বলে দাবি করেছে।
এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, বিষয়টি সন্দেহ জনক, থানায় অপমৃতু রুজু করা হয়েছে। রহস্য উদ্্ঘাটনে পুলিশ তৎপর।