সিরাজুল হক সিরাজ…
মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের কেরুনতলী থেকে থানা পুলিশ ও জনতা ধাওয়া করে বেবী টেক্সি আরোহী ২ শীর্ষ সন্ত্রাসীকে ১টি বন্দুক ও ৩টি কার্তুজসহ আটক করেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে গত ৪ নভেম্বর বিকাল ২টায়।স্থানীয় জনতা, চৌকিদার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রবিবার বিকালে হোয়ানকের ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল করিম এনাম উপজেলায় কাজ ছেড়ে একটি সি.এন.জি যোগে বাড়ী ফিরছিল। এ সময় খবর পায় যে, চেয়ারম্যানকে জানে হত্যা করার জন্য সন্ত্রাসীরা পানিরছড়া নামক স্থানে একটি টেক্সি নিয়ে উৎপেতে থাকে। চেয়ারম্যান দ্রুত গতিতে তার গাড়ীটি নিয়ে চালিয়ে যাওয়ার পিছে পিছে সন্ত্রাসীরা চেয়ারম্যানকে ধাওয়া করে। এ সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ, চৌকিদার ও জনতা কেরুনতলী নামক স্থানে সড়কে বেড়ীকেট দিয়ে বিভিন্ন গাড়ী তাল্লাশি শুরু করে। এসময় দুই যাত্রীবাহী একটি টেক্সি দ্রুত গতিতে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ চ্যালেঞ্জ করে উক্ত গাড়ীটি থামায়। এসময় এই দুই যাত্রীর কাছ থেকে একটি অত্যাধুনিক দেশীয় তৈরি বন্দুক ও ৩টি কার্তুজসহ তাদেরকে হাতে নাতে আটক করে। আটককৃতরা হল কেরুনতলী এলাকার গোলাম মোহাম্মদের পুত্র আছাফ উদ্দিন প্রঃ ধলাইয়া (২৫) ও বড়ছাড়া এলাকার বিবীশন ঘোষের পুত্র বিধান চন্দ্র ঘোষ (২৬)। স্থানীয়রা জানান, আটককৃতরা ফেরদৌস বাহিনীর সক্রিয় সদস্য। এ ব্যাপারে থানা সূত্রে জানাযায় দুই সন্ত্রাসী হত্যা মামলা সহ প্রায় দুই ডজনের উপরে হত্যা, নারী নির্যাতন, অস্ত্র মামলা রয়েছে। মামলা নং- জি.আর ১৩০/০৪, জি.আর ১৭৬/০৫, জি.আর ১৯৫/০৫, জি.আর ৬০/১২, জি.আর ১২২/০৬, জি.আর ৫৪/০২ এভাবে আরো অনেক মামলা রয়েছে। এলাকাবাসী ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় চেয়ারম্যান এনামুল করিম এনামকে হত্যা করার বিশেষ অভিযানে এই দুই সন্ত্রাসী সহ আরো ৪/৫ জন মোবাইল যোগে গোপন আস্তানায় ছিল। এ ব্যাপারে থানায় অস্ত্রসহ মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সিরাজুল হক সিরাজ
০১৭২৭৬২৮২৯৫
Leave a Reply