ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার …আজ পয়লা মে। ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’ ¯ে¬াগান দেওয়ার দিন আজ। বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবীদের আন্দোলন-সংগ্রামের অনুপ্রেরণার উতস ও আলোকবর্তিকার দিন। ১৮৮৬ সালের ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটে শ্রমের উপযুক্ত মূল্য এবং দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশ গুলি চালালে অনেক শ্রমিক হতাহত হন। এ আত্মত্যাগ ও রক্তাক্ত ঘটনার মধ্য দিয়ে দৈনিক কাজের সময় আট ঘণ্টা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের ঐতিহাসিক বিজয় হয়। ১৮৮৯ সালে প্যারিসে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে দিবসটিকে ‘মে দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়। সেই থেকে দিনটি মহান মে দিবস হিসেবে দেশে দেশে পালিত হয়ে আসছে।
অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ শনিবার দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হবে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা, মিছিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আজ সরকারি ছুটির দিন। মে দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পৃথক বাণীতে শ্রমজীবী মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে দিনটি পালন উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, জাতীয় শ্রমিক জোট, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ, ঢাকা জেলা যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়ন, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, জাতীয় শ্রমিক লীগ, জাতীয় শ্রমিক জোট, বাংলাদেশ নাগরিক সমাজ, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক জোট, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশন, জাতীয় শ্রমিক পার্টি, বাংলাদেশ বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ, পোশাকশিল্প শ্রমিক ফেডারেশন, শ্রমজীবী নারী ঐক্য, জনসংহতি আন্দোলনসহ আরও অনেক সংগঠন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।