এম. আরমান জাহান….ভিসা বন্ধ থাকায় ঈদগাঁওতে বেকারত্ব আশংকা জনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এত বেকারত্ব ঈদগাঁওবাসীর জন্য এক বিরাট অভিসাপ হয়ে দাড়িয়েছে।প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, সৌদি আরব ও আবুধাবি তথা দুবাই’র ভিসা বন্ধ থাকায় সদর ঈদগাঁওয়ের ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, পোকখালী, চৌফলদন্ডী, ভারুয়াখালী ও ঈদগাঁও ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিদেশগামী ইচ্ছুক মানুষ গুলো বিদেশে যেতে না পারায় বছরের পর বছর অপেক্ষার প্রহর গুনছে কখন ভিসা খুলে দেয়া হবে। কিন্তু প্রত্যাশার প্রহর যেন শেষ হওয়ার নয়। এতে প্রায় ২০ হাজার উর্ধ্ব মানুষ বিদেশ যেতে না পারায় বেকার হয়ে পড়ে মানবেতন জীবন যাপন করছে। এসকল লোক সাধারণত অর্ধ শিক্ষিত ও অশিক্ষিত হওয়ায় কোন সরকারী-বেসরকারী কাজকর্মের উপযুক্ত না হওয়ায় সামাজিক বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জড়িত হয়ে পড়ার আশংকা প্রকাশ করছে এলাকার অভিজ্ঞ মহল। এসকল লোক বিদেশ যাওয়ার জমানো টাকা গুলো কোন কাজকর্ম না পেয়ে খরচ করতে করতে অনেকে নিঃস্ব হয়ে পথে বসতে শুরু করে।
উল্লেখ্য প্রায় ৪ বছর পূর্বে সৌদি আরবে ভিসা বন্ধ হয়ে যায়। এর পর থেকে সৌদি আরব যাওয়া অত্র এলাকার মানুষের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। সৌদি কর্তৃপক্ষ ভিসা বন্ধ করে দিয়েও ক্লান্ত হয়নি। তখন থেকেই বাংলাদেশী শ্রমিকদেরকে নিজ দেশে পাঠানো শুরু করেছে। এতে সৌদিয়া থেকে ফেরত আসা মানুষ সহ যেতে না পারা মানুষ গুলো এলাকার জন্য এক বিরাট অভিসাপ হয়ে পড়েছে। কারণ এরা সাধারণত অর্ধ শিক্ষত ও অশ্বিক্ষিত। বিদেশ থেকে ফেরত আসা মানুষ গুলো তাদের উপার্জনকৃত টাকা জীবন নির্বাহের জন্য খরচ করতে গিয়ে তারা একপর্যায়ে পকেট শূণ্য হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে অনেক পরিবার তাদের সহায় সম্বল বিক্রি করে জমানো টাকা পরিবারের বিদেশগামী ইচ্ছুক ছেলের হাতে খরচ হতে থাকায় সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে। এর পর থেকে সৌদিয়া না গিয়ে অত্র এলাকার মানুষ গুলো আবুদাবী তথা দুবাইতে যাওয়া শুরু করে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস উক্ত দেশের কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি সেখানেও ভিসা প্রসেসিং বন্ধ করে দেয়ায় অত্র এলাকার বিদেশগামী ইচ্ছুক মানুষের কাটাগায়ে লবণের ছিটকা দেয়ার মতো এক যন্ত্রকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে এ বেকার জন সমাজ বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ডে লিপ্ত হতে পারে বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল।