শুক্রবার আহমেদাবাদে দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান। বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৫টায় খেলা শুরু হবে।
প্রথম ম্যাচের জয় সিরিজ জেতার স্বপ্ন দেখাচ্ছে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজকে। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “গত ম্যাচের কারণে আমরা মানসিকভাবে উজ্জীবিত। ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই ঘুরে দাঁড়িয়ে আমরা এখন দারুণ আত্মবিশ্বাসী। আগামীকাল (শুক্রবার) আমরা জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই।”
“আমাদের সামনে সিরিজ জয়ের সুযোগ। আমরা সবাই সেজন্য প্রস্তুত। শুধু কালকের ম্যাচ নয়, পুরো সিরিজ নিয়েই আমরা ইতিবাচক। দল হিসেবে আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমরা ভালো খেলতে চাই,” যোগ করেন হাফিজ।
পাঁচ বছর পর ভারত সফরে এসে প্রথম ম্যাচ্ে জয় পেলেও সতীর্থদের আত্মপ্রসাদে না ভোগার পরামর্শ দিয়েছেন পাকিস্তানের টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক।
তিনি বলেন, “আমাদের শুরুটা খুব ভালো হয়েছে। তবে এখনো চার ম্যাচ বাকি আছে। তাই আমাদের সতর্ক থাকা ও অতি আত্মবিশ্বাসী না হওয়াই উচিৎ। ভারত ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবেই।”
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের ব্যাটসম্যানরা চাপের মধ্যে থাকবেন বলে মনে করেন মিসবাহ। তিনি বলেন, “সিরিজের শুরু থেকেই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখার জন্য আমরা পেসারদের ওপরে নির্ভর করছি। তারা (পেসাররা) প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সাফল্যও পেয়েছে। আশা করি তাদের সেই ছন্দ ওয়ানডে সিরিজেও বজায় থাকবে ।”
প্রথম ম্যাচে পেসারদের পাশাপাশি পাকিস্তানের স্পিনাররাও সফল। বোলারদের জন্যই শুক্রবার মানসিকভাবে এগিয়ে অতিথিরা।
প্রথম ম্যাচে অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের অনুপস্থিতি ভালই ভুগিয়েছে ভারতকে। ম্যাচ শেষে হাফিজ তো বলেই দিয়েছেন, অশ্বিন না থাকায় পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ভারতের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি পেসারদের উজ্জ্বল উপস্থিতি। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারকে প্রথম বারের মতো শূন্য রানে আউট করা ভুবনেশ্বর কুমার ৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে অভিষেকেই সাড়া ফেলে দিয়েছেন।
ইশান্ত শর্মাও আগুন ঝরিয়েছেন ব্যাঙ্গালোরের চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। কিন্তু হাফিজ ও শোয়েব মালিকের দৃঢ়তাভরা অর্ধশতকে তাতে কোনো কাজ হয়নি।