হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম...সাবরাং শাহপরীরদ্বীপ বেড়ীবাঁধের ভয়াবহ ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে।ভাঙ্গা অংশ দিয়ে অমাবশ্যার জোয়ারের পানি ঢুকে ৪ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়- বরাদ্দে বেড়ীবাঁধের সংস্কার মেরামতের কাজ শেষ হতে না হতেই শাহপরীরদ্বীপ রক্ষাকারী বেড়ীবাঁধের ভয়াবহ ভাঙ্গণে শাহপরীরদ্বীপের ৩০ হাজার বাসিন্দা আতংকিত হয়ে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দীন খবর পেয়ে গতকালই বিধ্বস্থ বেড়ীবাঁধ সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। সাগরের লবণাক্ত পানি ঢুকে প্রায় ২ হাজার একর জমিতে আমন চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে বর্ষাকাল শুরু হয়েছে। এমতাবস্থায় বিধ্বস্থ বেড়ীবাঁধ নতুন করে তৈরী বা সংস্কারের কাজ করা মোটেও সম্ভব নয়। ঐতিহাসিক জনপদ হিসাবে খ্যাত শাহপরীরদ্বীপের অস্তিত্ব রক্ষা এবং বসবাসকারী ৩০ হাজার বনি আদমের জীবন-জীবিকা ও বাঁচামরা এই বেড়ীবাঁধের উপরেই নির্ভরশীল। বর্ষার শুরুতেই উপরšত্ত ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কারকৃত কাজ শেষ হতে না হতেই, বাঁধে ভয়াবহ ভাঙ্গণ ধরে বিস্তীর্ণ এলাকা চোখের সামনে বিধ্বস্থ হতে দেখে মানুষ চরমভাবে আতংকিত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে মানুষের র্নিঘুম রাত কাটছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়- পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০১১-২০১২ অর্থ বছরের শাহপরীরদ্বীপ বিধ্বস্থ বেড়ীবাঁধ সংস্কার ও ব¬ক নির্মাণে দু’টি প্যাকেজে দরপত্র আহবান করে। একটি ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, আরেকটি ৫ কোর্টি ৭২ লাখ টাকা। দু’টিরই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মেসার্স উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনাল। একটিতে ২৫০ মিটার বাঁধ সংস্কার, ১২০ মিটার নতুন বাঁধ নির্মাণ ও ১১ হাজার ব¬ক তৈরি। অন্যটিতে ৬৬০ মিটার বাঁধ নির্মাণ ও ৪৯ হাজার ব¬ক তৈরি। কক্সবাজার পানি উন্নয়ন র্বোড এ কাজে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারী ওর্য়াক অর্ডার দেয়। এ কাজ যথাক্রমে ১২০ দিন এবং ১৫০ দিনে সম্পন্ন করার কথা থাকলেও এখনো পর্যন্ত কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। আর এজন্য ঠিকাদারের প্রতিনিধি আনোয়ার যথাসময়ে অর্থ ছাড় না হওয়াকে দায়ী করেছেন। উপসহকারী প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দীন জানান, শাহপরীরদ্বীপ বেড়ীবাঁধ রক্ষা করতে হলে মহাপরিকল্পনা গ্রহন করে বড় অংকের বাজেট বরাদ্দ দিতে হবে, অন্যথায় এভাবে এ বাঁধ রক্ষা করা সম্ভব হবে না। বর্তমানে যে ডিজাইনে সংস্কার কাজ, ব¬ক তৈরী ও নতুন বাঁধ নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে তাতে শাহপরীরদ্বীপ বেড়ীবাঁধ মোটেও রক্ষা হবেনা। এমনকি বিগত ২ অর্থ বছরে এই বেড়ীবাঁধ সংস্কারে যা কাজ করা হয়েছিল তা সহ সাগরে বিলীল হয়ে গিয়েছে। নতুন ডিজাইন করে মাষ্টার প¬ানের মাধ্যমে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা না হলে এই বাঁধ রক্ষা হবেনা। তিনি আরও জানান- ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা বরাদ্দের কাজ মাত্র ৭৫% সম্পন্ন হয়েছে। ৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা প্যাকেজের কাজ এখনও শুরু হয়নি। গতকাল বুধবার ২০ জুন বিকালে সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হামিদুর রহমান টেকনাফ উপজেলা পরিষদে এপ্রতিবেদককে জানান- সকালে শাহপরীরদ্বীপ বেড়ীবাঁধের পশ্চিম অংশে বড় ধরণের ভাঙ্গণ ধরেছে। এতে ৪ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বর্তমানে শাহপরীরদ্বীপের পশ্চিম ও দক্ষিণ দিকে বেড়ীবাঁধের ভাঙ্গা অংশ হা করে আছে। ভাঙ্গণের ব্যাপ্তি প্রতি মূহুর্তেই বাড়ছে। এতে শাহপরীরদ্বীপের ৩০ হাজার মানুষ আতংকিত হয়ে পড়েছে। যথাসময়ে কাজ শুরু না করা এবং অত্যন্ত নিম্ম মানের কাজ করায় এই অবস্থা হয়েছে। টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ শফিক মিয়া বলেন- চট্টগ্রামের পতেঙ্গা যে ডিজাইনে বেড়ীবাঁধ নির্মাণ হয়েছে সে ডিজাইনে মাষ্টার প¬ানের মাধ্যমে শাহপরীরদ্বীপের বেড়ীবাঁধ নির্মাণ বা সংস্কার করা না হলে মোটেও টেকসই হবেনা। শাহপরীরদ্বীপ বেড়ীবাঁধের ভয়াবহ ভাঙ্গণে উদ্ধেগ প্রকাশ করে তিনি আরও জানান- ৬৮ নং ফোল্ডারের প্রায় ২৮ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধই ঝুঁকিপূর্ণ বিধ্বস্থ ও আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছে। ####
নয়ন অফিসার এবিএসএম রফিকুল ইসলাম, টেকনাফের আরডিও (চলতি দায়িত্ব) ভবেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী। ইউএনও আ,ন,ম নাজিম উদ্দীন কোর্স পরিচালক এবং উপজেলা প্রকল্প সমন্বয়কারী মোহাম্মদ রফিক উদ্দীন কোর্স সমন্বয়কারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। ##
Leave a Reply