ঢাকা: বিশ্ব ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতে লাখো ধর্মপ্রাণ মসুল্লির আগমণকে কেন্দ্র করে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে বিশ্ব রোড পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে পথে পথে হকার ও ভিক্ষুকদের যেন হাট বসেছিল রোববার।
গাজীপুরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের আশেপাশে খণ্ড খণ্ডভাবে ভিক্ষুকরা ভিক্ষাবৃত্তি করলেও চেরাগ আলী ও বিমানবন্দর এলাকায় ভিন্নভাবে ভিক্ষা করতে দেখা গেছে ভিক্ষুকদের।
এসব এলাকায় ২০ থেকে ২৫ জন ভিক্ষুক এক হয়ে দলগতভাবে ভিক্ষা করতে দেখা গেছে। বড় বড় চট ও পলিথিনের চারপাশে ভিক্ষুকরা বসে বসে ভিক্ষা করছেন।
আখেরি মোনাজাত শেষ করে পায়ে হেঁটে ঘরে ফেরা মুসল্লিকে আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন ধরনের গজল ও ইসলামিক গান গাওয়া হচ্ছিল।
যেমন- বিমানবন্দর এলাকায় ভিক্ষুক আক্কাস, রহিম, বাবু, হাফেজ, রবিউল ও জামালসহ প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন ভিক্ষুক একসঙ্গে ইসলামিক গান ও গজলের সুরে সুরে ভিক্ষা করছিলেন।
এদের নেতৃত্বে ছিলেন আক্কাস। তাদের গান, গজল, ইহকাল ও পরকালের নানা ধরনের বয়ানে আকৃষ্ট হয়ে মুসল্লিরা টাকা দান করতে দেখা যায় সাধ্যমতো।
আক্কাস যখন কোরাস করেন-“আমার আল্লাহ নবীজির নাম একটা টাকা করেন দান”; তখন আক্কাসের সহযোগী ভিক্ষুকদের সমবেত কণ্ঠে ধ্বনিত হয়- “পরকালে সোয়াব পাইবেন পাহাড়ও সমান।”
এই সব কোনো ভিক্ষুকের হাত নেই। কোনো ভিক্ষুকের আবার পা নেই। নানা ধরনের ব্যতিক্রম ভিক্ষুক দেখে অনেক মুসল্লি তাদের সাধ্যমতো দান করেন পরকালে আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায়।
ভিক্ষুকদের পাশাপাশি হকাররাও নিত্যপণ্য ও খোলা খাবারের পসরা বসান গাজীপুর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত সড়কের দুপাশে। যদিও এসবের মান নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে।
কেউ বিক্রি করছিলেন তেলে ভাজা খাবার, হালিম, পরোটা, সিঙাড়া, জিলাপি, পিঠা, চানাচুরসহ হরেকরকমের মিষ্টি জাতীয় খাবার।
খাবারের ওপর কোনো ঢাকনা না থাকায় যানবাহনের ধুলাবালির পাহাড় জমে খাবারে।
আর বাধ্য হয়ে এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারগুলো কিনতে বাধ্য হন বিশ্ব ইজতেমায় আসা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।