তিন বছর আগে বিদ্রোহে অংশ নেওয়ার অপরাধে বিজিবির (সাবেক বিডিআর) ৪৪ ব্যাটালিয়নের ১১৩ জনের সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ডাদেশ হয়েছে।ওই ব্যাটালিয়নের ৬৭৩ আসামির মধ্যে খালাস পেয়েছেন আটজন। বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে।বিদ্রোহের বিচারে কর্নেল এহিয়া আযম খানের নেতৃত্বে গঠিত বিশেষ আদালত মঙ্গলবার পিলখানার এজলাসে বসে এই রায় দেন।পিলখানায় বিদ্রোহের মোট ১১টি ইউনিটের মামলার মধ্যে এ নিয়ে ১০টির রায় হল। এখন বাকি শুধু সদর রাইফেল ব্যাটালিয়ন ইউনিটের মামলার রায়। ওই রায় হলে বিডিআর বিদ্রোহের সব মামলার বিচার সম্পন্ন হবে।বিদ্রোহের ঘটনায় ঢাকার বাইরে ৪৬টি মামলার সবগুলোর রায় ইতোমধ্যে হয়েছে।পিলখানায় হত্যা-লুণ্ঠনের মামলা চলছে ঢাকার জজ আদালতে। ওই মামলা সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।৪৪ ব্যাটালিয়নের আসামিদের মধ্যে সাড়ে ৬ বছর সাজা হয়েছে এক জনের, ৬ বছর সাজা হয়েছে ৩২ জনের। এছাড়া ২৬ জনকে সাড়ে পাঁচ বছর, ১৩১ জনকে পাঁচ বছর, ১২৪ জনকে সাড়ে চার বছর, ৭৩ জনকে চার বছর, ১৬ জনকে সাড়ে তিন বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।তিন বছরের সাজা হয়েছে ১৬ জনের, আড়াই বছরের সাজা হয়েছে দুই জনের, ৩৮ জনের হয়েছে দুই বছরের সাজা। আট জনকে দেড় বছর, ৪২ জনকে এক বছর, ১৫ জনকে ছয় মাস এবং ১৮ জনকে চার মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।রায়ে দণ্ডি প্রত্যেককে ১০০ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।
২০০৯ সালের বিদ্রোহের ঘটনায় করা এই মামলার বিচার ২০১০ সালের ২৬ এপ্রিল শুরু হয়েছিল। এই মামলার বাদি সুবেদার ইসমাইল হোসেন।
মোট ৬৭৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হলেও বিচার চলাকালীন দুজনের মৃত্যু হয়।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৩ জন নিহত হন। রক্তাক্ত বিদ্রোহের পর সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর নাম বদলে রাখা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি।
Leave a Reply