নজির আহমেদ সীমান্ত, টেকনাফ …বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়ে বঙ্গোপসাগরের পানি, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও র্পুণিমার জোয়ারে টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ পানিতে ভাসছে। গত দু’সপ্তাহ থেকে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অর্ধলাখ মানুষ। জোয়ারের তোড়ে শাহপরীরদ্বীপ- টেকনাফ সড়কটির বিশাল অংশ বিধ্বস্ত হয়ে বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয়েছে শাহপরীদ্বীপ। ৪০ বছর পূর্বে টেকনাফ – শাহপলীরদ্বীপের যান চলাচল শুরু হয় একটি মাটির কাচা রাস্তা নির্মাণের করার পর থেকে। চলতি বর্ষায় সড়কটি বিচ্ছন্ন হওয়ার পর ৪০ বছর পিছনে চলে গেল শাহপরীর দ্বীপ। সেদিনের মত সদর টেকনাফের সাথে নৌকাই যোগাযোগের একমাত্র বাহন শাহফরীরদ্বীপবাসির। ছাড়াও শাহপলীরদ্বপের পশ্চিম পাশ্বের বেড়িবাঁধ জোয়ারের তোড়ে বিধ্বস্ত হয়ে সাগর গর্ভে বিলিন হয়েছে দক্ষিণ ও পশ্চিম পাড়া গ্রাম। দুটি মসজিদসহ দেড়শ ঘরবাড়ি অস্তিত্ব বিলিন হয়েছে। বিধ্বস্ত গ্রামবাসিরা নিজগৃহ হারিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে কমপক্ষে ৩৫ হাজার মানুষ।
টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ অধিবাসি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হামিদুর রহমান সমকালকে জানান সরকার একাধিকবার অর্থ বরাদ্দ দিয়ে চেষ্টা করেছে দ্বীপবাসিকে রক্ষায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে। তবে জলবায়ু পরির্বতনের প্রভাবে সাগরে পানি বৃদ্ধি পেয়ে জোয়ারের সময় বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে সাগরের পানি প্রবাহিত হয়ে বেড়িবাঁধটি বিধ্বস্ত হয়ে শাহপরীরদ্বীপের বিশাল অংশ সাগর গর্ভে চলে গেছে। অনেক মানুষ ভিটেবাড়ি হারা এখন।
শাহপরীরদ্বীপের বিশাল ফসলি জমিতে এবার চাষ করতে পাবে না এ এলাকার কৃষক। ফলে দ্বীপের অনেকে পরিবারে খদ্য সংকট হওয়ার শংকায় রয়েছে।
যে ভাবে যাতায়াত করছে দ্বীপবাসি…
এতদিন যারা বিলাশবহুল গাড়িতে করে বাড়ি ফিরত দ্বীপের মানুষ তারা এখন ঘাটের খেয়া নিয়ে পার হচ্ছে এক কিলোমিটার নৌ পথ। এসব দুগর্ত মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত নৌকা ভাড়া নেওয়ার অভিযোগও কম নয়। তারপরও যেতে হবে । যাচ্ছে স্বচ্ছল মানুষ । গরীব মানুষ অনেক সময় খেয়া ভাড়া দিতে না পেরে প্রবল স্রোতে দিচ্ছে সাতার। গত ৫ আগষ্ট শাহপরীরদ্বীপের উত্তর পাড়ার এক ব্যক্তি কে পানির স্রোত ভেসে নিয়ে যায় । পরদিন তার মৃত লাশ উদ্ধার করে দেড় কিলোমিটার দুরে আড়াই স্লুইচ গেইট এলাকা থেকে।
গবাদি পশুর র্দুদিন কারে বলে..
শাহপরীরদ্বীপের চতোর দিক লোনা পানি। জোয়ারের সময় ডুবে যায় দ্বীপের উচু ভূমিও। জোয়ারের পানি নেমে গেলে কৃষাণ তার গরু ছাগল গুলি বিলে নিয়ে যায় তবে ঘাস গুলো লোনাপানিতে জ্বলে গেছে। কয়েক ঘন্ট দাড়িয়ে থাকে । আবার জোয়ার আসলে খালি পেটে ফিরে আসে গোয়ালে। গরু,ছাগল ছাড়াও অন্যান্য গবাদি পশুগুলি দিন দিন মারা যাচ্ছে এ র্দুদশার কথা জানিয়েছেন শাহপরীরদ্বীপের কৃষক জয়েজ আহমদ।
ঘরবাড়ির হারা মানুষের যত দুর্ভোগ …
যাদের আর কোন ঠিকানা নেই তারা কোন বাড়ির পরিত্যেক্ত বারান্দায় কিংবা জেটিঘাটের নীচে আশ্রয় নিয়েও দারুণ খাদ্যাভাবে দিনকাটাচ্ছে।
Leave a Reply