পহেলা সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৩৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। ১৯৭৮ সালের এইদিনে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাসীদের নিয়ে এই দল প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংঘাত ও চড়াই- উতরাইয়ের পথপরিক্রমায় বিএনপি আজ দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল। দল গঠনের পাঁচমাসের মাথায় ১৯৭৯ সালের ফেব্রম্নয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ২০০ আসনে জয়লাভ করে ৰমতায় প্রথমবারের মতো আসে বিএনপি। এরপর স্বৈরাচার এরশাদের বিদায় শেষে ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপরিচালনার সুযোগ লাভ করে। তবে ওয়ান ইলেভেনের পর সর্বশেষ ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ব্যাপক ভরাডুবির সম্মুখীন হয় বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট।
প্রতিষ্ঠার ৩৪তম বার্ষিকী পালন উপলৰে দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনগুলো। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলৰে কেন্দ্রীয় বিএনপির উদ্যোগে শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার দলের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভোর ৬ টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়গুলোতেও অনুরূপভাবে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলিত হবে। একইদিন সকাল ১০টায় দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা পুষ্পসৱবক অর্পণ করবেন।
বিজ্ঞপ্তি আরো বলা হয়, এছাড়াও বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো জেলা, মহানগর, উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিটগুলোতে স্বস্ব উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলৰে স্ব স্ব উদ্যোগে দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলৰে র্যালি, আলোচনা সভা, মিলাদ-মাহফিল কর্মসূচি পালন করবে। তবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয়ভাবে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে বর্নাঢ্য র্যালীর আয়োজন করবে। ৪ সেপ্টেম্বর ডিপেস্নামা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা।
এদিকে ৩৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলৰে শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরম্নল ইসলাম আলমগীর বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে বেগম খালেদা জিয়া দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দিনে দেশবাসিকে আনৱরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে সকলের সুখ, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেছেন। দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। একই সঙ্গে বিএনপি প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন পর্যায়ে যারা অসামান্য অবদান রেখে গেছেন তাদের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন খালেদা জিয়া। তিনি বিএনপি প্রতিষ্টার পর থেকে এ পর্যনৱ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে কিংবা প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের হাতে যে সকল নেতা-কর্মী শহীদ হয়েছেন এবং যারা স্বাভাবিক মৃত্যু বরণ করেছেন তাদের রম্নহের মাগফিরাত কামনা করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন তার প্রদত্ত বাণীতে বলেন, দেশের এক ক্রানিৱকালে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। স্বাধীনতা উত্তর ৰমতাসীনরা দেশের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা জারি করেছিল। সেখান থেকে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আজও দেশের অবস্থা ভাল না। দেশ বিরোধী চুক্তির মাধ্যমে বর্তমান সরকার দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়েছে। দেশের মানুষ নানা সমস্যায় জর্জরিত। বর্তমান সরকার আবারও ৰমতায় যেতে নানা চক্রানৱ করছে। তাই আজকের এইদিনে আমাদেরকে নতুন করে আন্দোলন-সংগ্রামের শপথ নিতে হবে।
Leave a Reply