আনোয়ার হোছাইন, ঈদগাঁও……….ঈদগাঁওয়ে বন্যার পানিতে ব্রীজ ধ্বসে কক্সবাজার শহরের সাথে চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, ১৭ ইসিবির নেতৃত্বে চলছে মেরামত কাজ কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওয়ে টানা বর্ষনের চতুর্থ দিন ২৬ জুন রাতে বন্যার পানির তোড়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁওয়ে ব্রীজ ধ্বসে পড়ায় ঐদিন রাত থেকে কক্সবাজার-শহরের সাথে ঢাকা-চট্টগ্রামের সকল প্রকার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যার কারণে যাত্রীও পর্যটক সহ দুর দূরান্তের যাত্রী সাধারণকে অবর্ণনীয় পোহাতে হয়। এলাকাবাসী সম্প্রতি উক্ত ব্রীজের নিজ দিয়ে অপরিকল্পিত খাল খননকে ব্রীজ ধ্বসের কারণ বলে জানিয়েছে। কক্সবাজার সাথে দেশের অন্যান্য স্থানের যোগাযোগ সচল করতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে কক্সবাজারস্থ ১৭ ইসিবির ব্যবস্থাপনায় গতকাল দুপুর থেকে ব্রীজের মেরামত কাজ শুরু হয়ে রাতে রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত চলছিল। মেরামত কাজে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও এলাকার লোকজনদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগীতা করতে দেখা যায়। জরুরী জন চলাচলের জন্য ধ্বসে পড়া স্থানের উপর অস্থায়ী সাঁকো নির্মাণ করা হয়। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় সড়কের দু’পাশে শত শত পন্যবাহী গাড়ী ও যাত্রী সাধারণকে আটকা পড়তে দেখা যায়। এদিকে ব্রীজের এ দুরাবস্থার জন্য জনসাধারণ সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন কক্সবাজারো (বিএডিসি) পরিকল্পিত টেন্ডারবিহীন খাল খননের অংশ হিসেবে উক্ত ব্রীজের নিচ অংশ থেকে স্কে¬বেটরের সাহায্যে মাটি কেটে ব্রীজের নিচ অংশকে দুর্বল করে ফেলায় বন্যার পানির তোড়ে ব্রীজটি ধ্বসে পড়ে বলে ধারণা করেছে। এছাড়া নদীর স্বাভাবিক ঠিক না রাখাও এর জন্য দায়ী বলে মনে করছেন অনেকে। উক্ত বিভাগের অধীনে ঈদগাঁওয়ের একাধিক স্থানে অর্ধডজন প্রকল্প সম্পন্ন করা হলেও তা জনসাধারণের কল্যাণের পরিবর্তে ক্ষতির কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে বলে জানান। খাল খননের ব্যাপারে বিএডিসি কক্সবাজারের সহকারী প্রকৌশলী মুফিজ উদ্দিনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি খাল খননের বিষয়টি স্বীকার করলেও অপরিকল্পিত ও টেন্ডার বিহীন খাল খননের বিষয়টি নানা কৌশলে এড়িয়ে যান। সচেতন মহল উক্ত স্পর্শ খাল খনন প্রকল্পটি বিধি মোতাবেক হয়েছে কিনা তা তদন্ত পূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী করেছেন। এদিকে ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের পাল পাড়া সহ বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙ্গন ও গাইড ওয়াল ভেসে যাওয়ায় সংলগ্ন এলাকার অভ্যন্তরীন সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। প্লাবিত ও ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা গুলোর মধ্যে রয়েছে পালপাড়া, কানিয়াছড়া, চৌধুরী পাড়া, কুলাল পাড়া, মন্ডল পাড়া, দরগাহ পাড়া, চান্দের ঘোনা, কালির ছড়া, উত্তর, দক্ষিন ও মধ্যম মাইজ পাড়া, ইসলামপুরের খান ঘোনা, লবণ শিল্প এলাকা ইসলামপুর বাজার, চৌফলদন্ডী, মধ্যম পোকখালী, গোমাতলী, ভিলেজার পাড়া, জালালাবাদ মনজুর মৌলভীর দোকান, ভারুয়াখালী বাজার সহ চৌফলন্ডী ওয়াপদা সড়ক। এসব এলাকার অর্ধসহস্র বাড়ীঘর এখনো পানিতে ভাসছে। দুর্গত এ সব এলাকার জনপ্রতিনিধিরা ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সম্ভব ত্রাণ সহায়তা পৌছিয়ে দিচ্ছেন। তবে দুর্গত এলাকায় ডায়রিয়া সহ পানি বাহিত রোগ প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে রোগ অবস্থা ভয়াবহ হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। সচেতন লোকজন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাকে অবিলম্বে দুর্গত এলাকা ঘোষনার দাবী জানিয়েছে।
Leave a Reply