মোহাম্মদ সিরাজুল হক সিরাজ…বাংলাদেশী নাগরিক মালয়েশিয়ায় খুন হওয়ার ৫ মাস পরেও মালয়েশিয়া সরকার প্রকৃত ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। তার এক ছেলে এক মেয়ে পিতা হারা, অল্প বয়সে স্বামী হারা বিধবা স্ত্রী, পুত্র হারা পিতামাতা ও তার উপার্জন নির্ভর অসংখ্য আতœীয় স্বজন না খেয়ে দিনাতিপাত ও পরের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বেড়াচ্ছে দেখার কেহ নাই।
তথ্য নিয়ে জানা যায়, কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ কুল গ্রামের মৃত মোহাম্মদ জালালের পুত্র আবুল বশর (৩৫) জীবিকা নির্বাহের দায়ে ৫ বছর আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন। সেই থেকে মালয়েশিয়ার ধনাঢ্য ব্যক্তি আশফী কোম্পানীর আশফীর কাছে রাজ মিস্ত্রির কন্টাকটার হিসাবে কাজ করত। একই কোম্পানীতে ১৪ বৎসর আগে বার্মা থেকে আসা নুরুল আমিন (৩৫) প্রঃ বর্মাইয়াও কন্টাকটার হিসাবে কাজ করত। তারই সুযোগে সরলমনা আবুল বশরের সাথে বন্ধুত্বের সুযোগ করে নিয়ে নুরুল আমিন টাকা পয়সা ধার নেওয়া শুরু করে। নিতে নিতে এক পর্যায়ে বাংলাটাকা ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা আটকিয়ে রাখে, তারই মধ্যে আবুল বশর বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় খোলা খুলিভাবে আসা যাওয়ার জন্য প্রচুর পরিমানে টাকা খরচ করে পাসপোর্ট তৈরি করে। সেই হিসাবে বাংলাদেশে আসার জন্য নুরুল আমিনের কাছ থেকে পাওনা টাকা চাইতে গেলে পূর্ব পরিকল্পনা মতে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জিতারা থানার অন্তর্গত আলসতা কেওড়া রোডে এনে মোটর সাইকেল চাপা দিয়ে মেরে তার দেহ ক্ষত বিক্ষত করে ফেলে। তা ভিন্ন হাতে প্রবাহিত করার জন্য মালয়েশিয়ার প্রশাসন ও গনমাধ্যম কর্মীকে ভুল তথ্য দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বার্মাইয়া আবুল বশর মর্মে প্রকাশ করে। পরিশেষে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য কেওড়া ও আলসতা ফকরা ও বাদে জালালংকা হাসপাতালে প্রেরণ করে। আবুল বশরকে খুনের প্রধান আলামত হিসাবে পরিলক্ষিত খুন করা মটর সাইকেল নিহতের পাসপোর্ট খুনি নুরুল আমিনের স্ত্রীর কাছে জমা আছে। সর্বোপুরি নিহতের পরিবার পরিজনের দাবী আবুল বশরের খুনের রহস্য উদঘাটন, খুনি নুরুল আমিনের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান মন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট মালয়েশিয়া সরকারের প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপ এবং অসহায় পরিবারের প্রতি সু-দৃষ্টি রাখার কামনা করছেন।
Leave a Reply