হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ : প্রকাশ্য দিবালোকে রাসত্মায় এক বখাটে টেকনাফ ডিগ্রি কলেজের এক ছাত্রীর চুল ধরে টানা-হেঁছড়া এবং কামড় দিয়ে গালের চামড়া তুলে ফেলেছে । গতকাল ১৯ জুলাই দুপুরে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং পেন্ডলপাড়া রাসত্মায় মাথায় ঘটেছে চাঞ্চল্যকর এঘটনা। ঘটনাটি ইউএনও আ,ন,ম নাজিম উদ্দীনকে অবহিত করার পর পরই অতি দ্রম্নত এ্যাকশনে নামেন। এব্যাপারে হামলার শিকার কলেজ ছাত্রী বাদি হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা করেছেন। লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়- সাবরাং রুহুল্লারডেপা আমির হোসেনের মেয়ে পারভিন আক্তার (১৭) ও হামিদা আক্তার (১৫) টেকনাফ ডিগ্রি কলেজে অধ্যয়নরত। তারা মানবিক বিভাগের যথাক্রমে দ্বাদশ ও একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। গতকাল ১৯ জুলাই কলেজ ছুটির পর টেকনাফ থেকে সিএনজি ট্যাক্সি যোগে পেন্ডলপাড়া রাসত্মার মাথায় নেমে হেঁটে বাড়ি যাচ্ছিল। এসময় প্রতিবেশী সিকদারপাড়া মো: আয়ুবের পুত্র বখাটে আব্দুর রশিদ রাসত্মার উপর পারভীন আকতারের চুল ধরে টানা হিঁছড়ে করে এবং ডান গালে কামড় দিয়ে মাংস তুলে ফেলে। ছোট বোন হামিদাসহ দু’বোনের শোর-চিকিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে বখাটে আব্দুর রশিদ পালিয়ে যায়। এঘটনার পর দু’বোন ফের কলেজে ফিরে এসে কলেজ অধ্যক্ষর মাধ্যমে টেকনাফ ইউএনও বরাবরে আবেদন করে। ইউএনও ঘটনা অবহিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক নিজের গাড়ি দিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুলস্নাহ আল মামুনকে ঘটনাস্থলে পাঠান বখাটে আব্দুর রশিদকে ধরতে। কিন্তু আব্দুর রশিদ কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। দু’বোন জানায়- কলেজে যাতায়ত পথে প্রায় সময় উক্ত বখাটে ইভটিজিং করত। জানা যায়- পারভীনরা ৫ বোন ১ ভাই, সকলে অধ্যয়নরত, পিতা অসুস্থ। সহায় সম্বল নেই, অত্যমত্ম কষ্ট করে তারা লেখা-পড়া চালিয়ে যাচ্ছে। ইউএনও পারভীনের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেন। দু’বোন ইউএনও’র তাৎক্ষণিক তৎপরতায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
Leave a Reply