আবদুল আলীম নোবেল…কক্সবাজার কলাতলী ও হোটেল মোটেল জোন এলাকায় ফ্য¬াট বাড়ীর নাম দিয়ে বেশ কিছু ফ্লাট বাড়ীকে আবসিক হোটেল হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। অন্যদিকে ব্যবসায় মার খাচ্ছে নিবন্ধন কৃত আবসিক হোটেল মোটলে গেস্ট হাউজ গুলো। কারণ হিসাবে জানা যায় আবাসিক হোটেল হলে সরকারকে রাজস্ব দিতে হয়। ফ্য¬াট বাড়ী হলে তা মুক্ত। এ সুযোগকে ফ্ল্যাট বাড়ীর মালিকরা সরকারের রাজস্ব এড়াতে এমন অভিনব প্রতারণা করে চলছে বলে জানা গেছে। এমন অভিযোগ স্থানীয় হোটেল মোটেল মালিক কতৃপক্ষের। ফলে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। ৬শ’ ফ্য¬াট বাড়ীর ৬ হাজারের ও বেশি কক্ষ ভাড়া দিয়ে অনিয়মকে নিয়মে পরিনত করার অভিযোগ ওঠেছে। তাছাড়া ওই সব কক্ষে ৩৬ হাজার বোর্ডার ধারণ ক্ষমতা রয়েছে বলে জানিয়েছেনে সংশ্লিষ্ট মহল। অর্ধশত হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক কতৃপক্ষ। নিয়ম বর্হিভূত ভাবে ব্যাবসা চালিয়ে আসা ওই ফ্ল্যাট বাড়ীর বিরদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কাস্টম এক্্রসাইজ ও ভেট কক্সবাজার ও ঢাকা অফিসে স্বারক লিপি দিয়ে কোন কাজ হয়নি বলে জানা গেছে।
অনুসান্ধি প্রতিবেদনে জানা যায় একটি হোটেলের নিবন্ধন নিতে কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষসহ বিভিন্ন বিভাগ থেকে ১৭ টির মত কাগজ পত্র সংগ্র করতে হয়। এক্ষেত্রে বেশির ভাগ হোটল মোটেল নিবন্ধন করতে কাগজ পত্র জমাদিতে গেয়ে সঠিক কাগজ প্রত্র জমা দিতে না পারায় নিবন্ধন আটকে যায়। ফলে কিছু অসাধু মালিকরা নিবন্ধন না নিয়ে ব্যাবসা করার খবর পাওয়া গেছে। নিবন্ধন না নেয়াতে এক দিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব অন্যদিকে ফ্লাট বাড়িকে আবাসিক হোলেট হিসাবে ভাড়া দেয়াতে অনিয়ম করছে।
হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধরণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার জানিয়েছেন কলাতলীসহ ওই এলাকায় ৫০টি আবাসি হোটেল ও গেস্ট হাউজের নিবন্ধন রয়েছে। শহরের ভিতরে রয়েছে ৩০টি আবাসিক হোটেল। তারকা মানের মধ্যে রয়েছে ১২টি। অন্যদিকে কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষ তথ্য সূত্রে জানা যায় এযাবত তাদের কাছ থেকে ৬৫টি আবসিক হোটল নিবন্ধন নিয়েছে।
সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা যায় শহরে ২২৩টি আবাসিক হোটেল রয়েছে। তার মধ্যে পর্যটন মোটেল ১১টি এবং কক্ষ সংখ্যা ২২৬ টি। তারকা মানের হোটেল ১২টি যার কক্ষ সংখ্যা ১৮৫০টি। আবসিক হোটেল ও গেস্ট হাউজ ৪৮টি ওই হোটেল ও গেস্ট হাউজের মধ্যে কক্ষ রয়েছে ২২২২৪টি। অন্যদিকে শহরে আবসিক হোটেল ৪৪টি যার কক্ষ সংখ্যা ১৮০৭টি। তাছাড়া কলাতলী এলাকায় অবস্থিত কটেজ ৮০টি, কক্ষ ৭৭৭টি। বাস টার্মিনাল এলাকায় গেস্ট হাউজ ৮টি কক্ষ সংখ্যা ৯২টি। হিমছড়ি এ লাকায় কটেজ ৮টি কক্ষ সংখ্যা ১৩৮টি। ওই সব হোটেল মোটেল আবসিক ও কটেজের মোট কক্ষ সংখ্যা ৭১৮৯টি বলে জানা যায়। অন্যদিকে সমিতি পাড়ায় আরও ১০টি কটেজের সন্ধান পাওয়া যায় তবে তাদের কোনটিতে নাম পাওয়া যায়নি। জানা গেছে ৭৫টি কক্ষ রয়েছে।
Leave a Reply