মুহাম্মদ ছলাহ্ উদ্দিন, টেকনাফ/ মোবাইল ফোনে চার্জ দেয়ার’ মত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে টেকনাফের হ্নীলা রঙ্গিখালী গ্রামে ৭ বসতবাড়ীতে তান্ডব চালিয়েছে প্রতিপক্ষ। ঘটনার ৩৬ ঘন্টা পরও প্রতিপক্ষের তান্ডবে ভাংচুরকৃত ওই বসতবাড়ীগুলোর নারী-শিশুসহ বাসিন্দারা খোলা আকাশের নীচে আতঙ্কে দিনযাপন করছে। ওই ঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের হয়েছে। তবে মামলা হয়নি।
বৃহস্পতিবার বিকালে সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে ওই গ্রামের বাসিন্দা ছাবের আহমদ পুনাইয়্যার ছেলে খাইরুল আমিন অভিযোগ করে জানায়, বুধবার সকাল ১০টার দিকে রঙ্গিখালী ষ্টেশনস্থ তার কম্পিউটারের দোকানে শফিক মেম্বারের ছোটভাই হুমায়ূন তার মোবাইল ফোন চার্জ দেয়। এক ঘন্টা পর এসে মোবাইল ফোন নিয়ে ‘এখনো কেন চার্জ হয়নি’ বলে অনর্থক তাকে (খাইরুলকে) গালিগালাজ করলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এর জের ধরে শফিক মেম্বারের অপরাপর ভাই-স্বজনরা এসে দোকানে হামলা চালিয়ে দোকানে ভাংচুর চালায়। এসময় তারা তাদের বয়োবৃদ্ধ চাচা আবদুস সালামের কাঁচা তরকারীর দোকানেও হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চাচা-ভাতিজার দোকানে হামলা চালানোর ঘন্টা-দেড়েক পর শফিক মেম্বারের অপর ভাই বেলাল ঘটনাস্থল থেকে অর্ধকিলোমিটার পশ্চিমে মেইট্টাতলীর দিকে গেলে সেখানে খাইরুলের স্বজন শাহ জালালকে স্বশস্ত্র অবস্থায় দেখে ভীতসন্ত্রস্ত বেলাল পার্শ্ববর্তী ছৈয়দের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়ে তার ভাই-স্বজনদের খবর দিলে সেখানে হামলা-পাল্টা হামলাসহ ছরকা গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে ক্ষুব্ধ শফিক মেম্বার ও তার অপরাপর ভাই-স্বজনরা দা, কিরিচ, লাটিসোটা নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পৌণে এক কিলোমটিার উত্তরে অবস্থিত খাইরুল আমিনের স্বজন স্থানীয় আবদুস সালামের পুত্র আবদুল হামিদের বসতবাড়ী, মাস্টার ইসমাইলের বসতবাড়ী, তার পুত্র দেওয়ান মোঃ সোলাইমানের বসতবাড়ী, ছাবের আহমদ পুনাই্যার বসতবাড়ী, তার দু’পুত্র নুরুল আমিন ও ছৈয়দুল আমিনের বসতবাড়ী এবং প্রতিবেশী শফিউর রহমানের পুত্র আবদুল মজিদের বসবাড়ীতে তান্ডব চালায়। ৭ বসতবাড়ীর মালিকগণ অভিযোগ করে, তারা বসতবাড়ী গুলোতে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র, দরজা-জানালা, ঘেরা-বেড়া, হাড়ি-পাতিল ভাংচুর করে। এ সময় তারা ল্যাপটপ, স্বর্ণ, নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়।
ঘটনার ৩৬ ঘন্টা পরও প্রতিপক্ষের তান্ডবে ভাংচুরকৃত ওই বসতবাড়ীগুলোর নারী-শিশুসহ বাসিন্দারা খোলা আকাশের নীচে আতঙ্কে দিনযাপন করছে। ওই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ আবদুল হামিদ কাফিয়ার স্ত্রী খতিজা বেগম বাদী হয়ে শফিক মেম্বারকে প্রধান আসামী করে থানায় এজাহার দায়ের করে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের মামলা নথিভূক্ত করা হবে।
Leave a Reply