মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম,টেকনাফ। =
নাফনদী হতে বাংলাদেশী জেলেকে ফেরত আনতে বিজিবির অব্যাহত প্রচেষ্টার প্রেক্ষিতে ৬দিনের মাথায় মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী নাসাকা বাহিনী পত্রের মাধ্যমে সাফ জানিয়ে দিয়েছে তারা আটক জেলেকে ফেরত দিবেনা। এরফলে সীমান্তে সৃষ্ট ক্ষুদ্র সংকটকে জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে গেল নাসাকা বাহিনী। এরফলে সীমান্ত নির্ভর চিংড়ী ও কাঁকড়া ব্যবসায়ীরা আতংকের মধ্যে পড়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানাযায়-৬জুন বিকাল ৫টারদিকে মিয়ানমার নাসাকা বাহিনীর ৫নং সেক্টরের নাগাকুরা ক্যাম্পের আরো একটি পত্র টেকনাফ ৪২বিজিবির হ্নীলা বিওপি ক্যাম্পে প্রেরণ করে। এতে নাসাকা বাহিনী আটক ইসমাঈলকে ৬ফেরত না দিয়ে সে দেশের প্রচলিত আইনে বিচার করার কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে। এরফলে বাংলাদেশী জেলেকে পত্রবিনিময় ও পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত আনার পথ রুদ্ধ বলে মনে হলেও আশা ছাড়েনি বিজিবি। স্থানীয়ভাবে না হয়ে জাতীয় পর্যায়ে হলেও নিরীহ বাংলাদেশী জেলে ইসমাঈলকে ফেরত আনার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয়ী বিজিবি। এই ব্যাপারে টেকনাফ ৪২বিজিবির হ্নীলা বিওপির কোম্পানী কমান্ডার তোতা মিয়া বলেন- নাসাকা বাহিনীর প্রেরিত পত্র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। উক্ত জেলেকে ফেরত আনতে এবার উপর মহলের নির্দেশনাক্রমে যাবতীয় কর্মকান্ড পরিচালিত হবে। এদিকে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর এই ধরনের একগুয়েমী মনোভাব উভয় পারের স্থানীয় চিংড়ী ও কাঁকড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।