২৩/০৯/২০১২ ইং তারিখ দৈনিক সমুদ্র বার্তা, ২৪/০৯/২০১২ ইং তারিখ দৈনিক আপন কণ্ঠ, ২৫/০৯/২০১২ ইং তারিখ দৈনিক আজকের কক্সবাজার বার্তা, ২৮/০৯/২০১২ ইং তারিখ দৈনিক আপন কণ্ঠ ও ২৯/০৯/২০১২ ইং তারিখ আজকের কক্সবাজার বার্তা পত্রিকায় প্রকাশিত “টেকনাফে ভুঁয়া সনদ দিয়ে দেড় যুগ ধরে চাকুরী, প্রতিষ্টানের নাম ভাঙগিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে চাঁদাবাজী, অল্প দিনে কোটিপতি ও রঙ্গিখালী মাদরাসায় সহকারী লাইব্রোরীয়ানের দায়িত্বহীনতায় লক্ষাধিক টাকার পাঠ্যপুস্তক নষ্ট” শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কতিপয় ভিন্ন চিন্তাধারার লোক আমার ব্যক্তিগত সুনাম, পারিবারিক ঐতিহ্য নষ্ট করার ও প্রাতিষ্ঠানিক ভূমিকা পালনের প্রতি পরশ্রীকাতর হয়ে অপপ্রচার ও মান হানিকর কুৎসা রটনা করে যাচ্ছে, যা ইতোপূর্বেও করেছিলেন। ষড়যন্ত্রকারীদের অপবাদ থেকে ড. গাজী ফকির সাহেব হুজুরও রেহায় পায়নি। উল্লেখ্য যে, ১৯৭৭ সালে ড. গাজী কামরুল ইসলাম ফকির সাহেব হুজুর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত রঙ্গিখালী মাদরাসার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শুরু করে আজঅবধি আমার বাবা হাজী অছিউর রহমান ও আমার অবদানের কথা মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসীর অজানা নহে। ১৯৯০ ইং সনে গ্রন্থাগারীক কাম শিক্ষক পদে চাকুরীতে যোগদান করার পর থেকে অনেক অডিট কমিটি মাদরাসা অডিট করেছে। কিন্তু সনদ কেহ ভূঁয়া প্রমাণ করতে পারেনি। প্রমাণ করুন! দীর্ঘ মেয়াদী অভিজ্ঞ অধ্যক্ষের তত্ত্বাবধানে চাকুরী করছি। তিনি ভালভাবে জানেন যে, কোন পদে কোন বেতন স্কেলে কোন কোড নম্বরে আছি। বর্তমান শক্তিশালী গভর্নিং বডির সদস্যবর্গও এ ব্যাপারে ওয়াকিফহাল। সাংবাদিক ও সম্পাদক ভাইদের প্রতি ২৩/০৯/২০১২ ইং তারিখ টেকনাফ নিউজ ডট কম ওয়েবসাইটে আমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য তুলে ধরেছিলাম। যাতে কর্তৃপক্ষের মোবাইল নম্বরও দেয়া হয়েছিল। আমি আবারও সাংবাদিক ও সম্পাদক ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যে কোন মুহুর্তে আপনারা আমার ব্যাপারে জানতে পারবেন, সহযোগিতা করব ইনশা আল্লাহ। আমি মাদরাসা এবং কারও ক্ষতি করিনি।
২৭/০৯/২০১২ ইং তারিখ অধ্যক্ষ মহোদয়ের সাথে মাদরাসার স্টাফ মোহাম্মদ ইউছুফ ও ইসমাঈল মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি নির্দেশ দেন যে, বিগত বছরগুলোর সিলেবাস বহির্ভুত ছেড়া বই গুলো বিক্রয় করে টাকা গুলো অফিসে জমা দেয়ার জন্য। বৃহস্পতিবার বাদে জুহর অফিস সহকারী না থাকায় বই বিক্রয়লব্ধ টাকা গুলো মাওলানা আতাউল হক সাহেবকে জমা দেন। যা ইউছুফ ও ইসমাঈলের স্বীকারোক্তি। উপাধ্যক্ষ সাহেবও জানেন, বই বিক্রয় ব্যাপারে আমি মোটেও সংশ্লিষ্ট নই। প্রতি বছর বর্ষার পর কয়েকবার বই কিতাবগুলো রৌদ্রে শুকানোর জন্য বাহির করা হয়। এবছরও তা হয়েছে। বলাবাহুল্য যে, আমি যখনই যেখানে যাই, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে যাই। মাদরাসার গুরুত্বপূর্ণ ও উন্নয়নমূলক কাজে ইতোপূর্বেও মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ড. গাজী কামরুল ইসলাম আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। যেমন- ২০০০ সালে পরীক্ষার কেন্দ্র আনায়ন ব্যাপারে, ইসলামিক সেন্টারের কর্তৃপক্ষ মরহুম আনোয়ার ইসলাম চৌধুরী, মরহুম আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মেম্বার ও এড. শাহ জালাল চৌধুরীও একইভাবে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান কর্তৃপক্ষও মাদরাসার গুরুত্বপূর্ণ ও উন্নয়নমূলক কাজে আমাকে দায়িত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। মাদরাসার গুরুত্বপূর্ণ ও উন্নয়নমূলক কাজে ভূমিকা পালন করতে দেখে কতিপয় ষড়যন্ত্রকারী আমার ব্যাপারে অপপ্রাচার করে বর্তমান মাদরাাসা কর্তৃপক্ষের সাথে ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি করে মাদরাসার ক্ষতি করার এবং কমিটি থেকে আমাকে দুরে সরে নেয়ার পায়তারা করে যাচ্ছে।
আমার আব্বার এল.আর নং- ৪৪৩। আমি কোন পরিবারের সদস্য এলাকাবাসী জানেন এবং কোন পরিবার থেকে বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ হয়েছি তাও জানেন। ২০০২ সালে ২০ ভরি স্বর্ণের মোহরানা নির্ধারণ করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। বিশেষ করে আমার বিয়ের ব্যাপারে যার ভূমিকা বেশি ছিল আলহাজ্ব এইচ.কে আনোয়ার সিআইপি সাবেক চেয়ারম্যান থেকে জানতে পারেন। গাড়ীর ব্যাপারে পত্রিকায় এসেছে। বিয়েতে আমাকে একটি প্রাইভেট কার গাড়ী উপহার দিয়েছিলেন। আমার পারিবারিক অবস্থান মতে আরও উন্নত বাড়ী থাকা উচিৎ ছিল। আমার ব্যাপারে যা লিখতেছেন সম্পূর্ণ বানোয়াট, মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এধরণের সংবাদ মানহানীকর। ভবিষ্যতে এ ধরণের সংবাদ প্রকাশে যাচাই বাছাইয়ের জন্য সাংবাদিক ও সম্পাদক ভাইদের সুদৃষ্টি কামনা করছি ও প্রকাশিত উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হযরত আদম (আঃ) থেকে পৃথিবী ধ্বংসের পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্ত অব্যাহত থাকবেই।
কবির আহমদ ছিদ্দিকী
রঙ্গিখালী দারুল উলুম ফাজীল মাদরাসা
হ্নীলা, টেকনাফ, কক্সবাজার।
মোবাইল নং- ০১৭১৫৬৮১৯৭২, ০১৮১৪৭৯৩৭৯৬।
Well done. Don’t care such dirty propaganda.