দেশে প্রথম বারের মত আয়োজিত তিন দিনের আন্তর্জাতিক ডেইরি, মৎস্য ও পোষাপ্রাণী মেলার সমাপনী দিনে শনিবার দেখা মেলে তেমনি সখসামগ্রীর। যেগুলোর মূল্য সাধারণের জন্য অনেকটা চমকে ওঠার মতোই।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ মেলার এক্সোটিক বার্ড ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের স্টলে একটি পোষাপাখির দাম হাঁকা হয়েছে সাড়ে ৪ লাখ টাকা। পাখিটির নাম সিভিআর ম্যাকাউ। পাখিটির আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকা। গাঢ় সবুজের মাঝে পাখনায় লাল রঙের বর্ণিল রূপের এ পাখিটি মূলত: অভিজাত সৌখিনদের ঘরেই শোভা পায়।
এ স্টলে স্থান পায় এরকম বিচিত্র আকৃতি ও রঙের ১৮ রকমের কেইচ বার্ড।
এসব পাখির আচরণ ও আকৃতির মত দামেরও রয়েছে ভিন্নতা। এর মধ্যে কেইচ বার্ড জাভার (কয়েক প্রকারের) দাম হাঁকা হয় ২৫শ’ টাকা থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত। একইভাবে লরির দাম ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, সিনেগাল পেরর ৪০ হাজার টাকা, গানা কাকাতুয়া ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, আফ্রিকান গ্রে পেরর ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা, ইলেক্ট্রাস পেরর ৪১ হাজার-১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, লাফিং ডফ ৫শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা, ডায়মন্ড ডফ ২৫শ থেকে ৫ হাজার টাকা, বাজিগর ৪শ’ থেকে ৩০ হাজার টাকা, লাভ বার্ড ১৫শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা, ককাডেল ২ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ফরপাসের দাম ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা।
এক্সোটিক বার্ড ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের সদস্য হাসানুর রহমান হাসান বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘‘প্রথমে আমরা শখের বশবর্তী হয়েই পাখি পোষা শুরু করি। পরবর্তী সময়ে এটি একটি সম্ভাবনাময় ও লাভজনক শিল্প হিসেবেও দাঁড়িয়ে যায়। এখন দিন দিন পাখি প্রতিপালনের আগ্রহ বাড়ছে। একই সঙ্গে পোষাপাখি শিল্পও এগিয়ে যাচ্ছে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘স্টলে প্রদর্শন ও বিক্রির জন্য রাখা সব পাখিই কেইচ বার্ড। এখন পর্যন্ত বেশির ভাগ কেইচ বার্ডই বিদেশ থেকে আনা। তবে ক্ষুদ্র হলেও শিল্প হিসেবে এগিয়ে যাওয়ায় দেশেও কেইচ বার্ড ব্রিডিং শুরু হয়েছে। এটি অব্যাহত থাকলে এক সময় বিদেশ থেকে পাখি না এনে দেশেই সব প্রজাতির পাখি উৎপন্ন করা সম্ভব হবে।’’
Leave a Reply