মুহাম্মদ আবু বকর ছিদ্দিক, রামু….….কক্সবাজার শহরের কলাতলি এলাকায় আবাসিক হোটেলে ইয়াবা ব্যবসা ও ব্যবসার লেনদেন নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে আটককৃত ৭ যুবককে ছেড়ে দিয়েছে মডেল থানা পুলিশ। ১৯ জুন বিকালে কলাতলি শাহ আমানত গেস্ট হাউস থেকে এদের আটক করার পর আটককৃতদের ছড়িয়ে নিয়ে কয়েকটি চক্র জোর তৎপরতা চালায়। সর্বশেষ গভীর রাতে এদের ছেড়ে দেয়া হয়। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাপক বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে জেলা ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, কলাতলি হোটেল মোটেল জোন সহ আশপাশ এলাকায় গেস্ট হাউস ও হোটেল ব্যবসার আড়ালে অধিকাংশ মালিক এবং কর্মচারীরা যৌন উত্তেজক ইয়াবা ট্যাবলেটের ব্যবসা চালিয়ে আসছিল।
কলাতলি শাহআমানত গেস্ট হাউসে গত কয়েক দিন পূর্বে বেশ কিছু ইয়াবার চালান হাত বদল হয়। এই ইয়াবা ব্যবসার লেনদেন নিয়ে ব্যবসায়ীদের মাঝে বিরোধ সুষ্টি হলে টেকনাফ ঝিমংখালী এলাকার মোঃ হোছনের পুত্র ফরিদুল আলমের মধ্যে বিরোধ সুষ্টি হয়। ইয়াবা বিক্রির নামে ৩০ হাজার টাকা অগ্রীম নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগে ওই গেস্ট হাউসে তাকে ২য় তলার ৩০২ নং কক্ষে নিয়ে গিয়ে ৩দিন ধরে আটক রাখা হয় তাকে। ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক রাখার খবরটি তার বন্ধু ফারুককে মোবাইলের এসএমএস এর মাধ্যমে অবগত করেন। বিষয়টি কক্সবাজার থানা পুলিশকে অবগত করা হলে পুলিশ বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ওই গেস্ট হাউসে অভিযান চালায়। এ সময় বন্দিদশা থেকে উদ্ধার পরবর্তী আটক করা হয় টেকনাফ ঝিমংখালী এলাকার মোঃ হোছনের পুত্র ফরিদুল আলম (৩২),একই এলাকার জাফর আলমের পুত্র ছৈয়দ আকবর (৩২). সৈকত পাড়া এলাকার মোহাম্মদ মুসলিমের পুত্র মোঃ আবুল বশর (২২),তার সহযোগী ফিরোজপুর ভান্ডারিয়া থানার দাওয়া তালুকদার বাড়ীর সোহরাব হোসেন তালুকদারের পুত্র শফিকুল ইসলাম ( ২৪),গেস্ট হাউস ম্যানেজার ঈদগাঁও পোকখালী এলাকার আবু বক্করের পুত্র হুমায়ুন কবির, সৈকত পাড়ার এলাকার হাফেজুর রহমানের পুত্র নুরুল কাশেম (২৪) ও শাহ আমানত গেস্ট হাউস মালিক ঈদগাঁও পালাকাটা গ্রামের মুস্তাফিজুর রহমানের পুত্র মোঃ আরমানকে।
এদিকে ,ওই সব ইয়াবা ব্যবসায়ি গ্রেফতাদের পর একাধিক চক্র তাদের ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য ব্যাপক তৎপরতা চালায়। ১৯ জুন গভীর রাতে এসব ব্যক্তিদের থানা হাজতথেকে থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।
অভিযোগ উঠেছে,আটককৃতদের ছেড়ে দেয়ার জন্য মোটা অংকের লেনদেন হয়েছে। এই অর্থের সামান্য অংশ স্থানীয় কিছু সংবাদকর্মীদের নিকটও বন্টন করা হয়েছে বলে সুত্রে প্রকাশ।
কক্সবাজার পুলিশসুপার সেলিমমোহাম্মদ জাহাংগীর এর সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আটককৃত আসামীদের থানা থেকে ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখছেন।
কক্সবাজার মডেল থানা পুলিশ জানান,আটককৃতরা আপোষ মিমাংসা হওয়ায় এদেরকে আত্মীয় স্বজনদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
আটককৃতদের মধ্যে একটি সুত্র জানায়,উভয় পক্ষের মধ্যে শান্তিপূর্ব সমাধানের পর তাদের ছেড়ে দিয়ে পুলিশ।
অপরদিকে, আটককৃতদের রিমান্ডে নিলে ইয়াবা সিন্ডিকেটের মুলহোতারা এবং ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত চক্রের মুখোশ উম্মেচন করা যেত বলে একটি দায়িত্বশীল সুত্র জানিয়েছেন।
Leave a Reply