স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর পল্টন এলাকায় হেফাজত কর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় পুলিশের সংঘর্ষ হচ্ছে। পুলিশ বৃষ্টির মতো শ’ শ’ রাউন্ড গুলি, টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে। এতে চারজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। একজনের নাম সিদ্দিকুর রহমান (২৮)। তিনি হানিফ পরিবহনের হেলপার বলে জানা গেছে। অপরজন হেফাজত কর্মীর লাশ শাপলা চত্বরে মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে অজ্ঞাত পরিচয় একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বায়তুল মোকাররমের মিনার গেটে গণধোলাইয়ের শিকার নাহিদকে উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে যাওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। এদিকে হেফাজত কর্মীরাও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে প্রতিরোধ গড়ে তুলে। বিজয়নগর এলাকায় একটি পুলিশ বক্স ও ডিসি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। এছাড়া বায়তুল মোকাররম এলাকায় ফুটপাথে বেশ কয়েকটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয় হেফাজত কর্মীরা। এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। এতে পুরো এলাকা কালো ধোঁয়া আচ্ছন্ন হয়ে যায়। পুরানাপল্টন, বিজয়নগর, কাকরাইল এলাকায় থমথমে আবস্থা বিরাজ করছে। এর আগে সকাল সাড়ে ১১টায় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। তখন পুলিশ গুলি ও টিয়ার শেল এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে। এসময় হেফাজতের বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। আমাদের মেডিকেল প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আহত শতাধিক হেফাজত কর্মীকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তাদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ফের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এসময় হেফাজত কর্মীরা ওই এলাকায় মিছিল করার চেষ্টা করছিলেন। এতে বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পুলিশ জানিয়েছে হেফাজতের কর্মীরা লাঠি নিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দিকে যেতে চায়। আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের দিক থেকেও লাঠি নিয়ে কর্মীরা বায়তুল মোকাররমের দিকে আসলে চাইল মাঝ থেকে দুই পক্ষকে বাধা দেয়া হয়। এতে হেফাজতের কর্মীরা সংঘর্ষে জড়ান। হেফাজতকর্মীরা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে অবস্থান করছেন। অন্যদিকে পুলিশ পল্টন মোড়ে অবস্থান করছে। তবে ওই এলাকায় হেফাজত কর্মীদের উপস্থিতি বাড়ায় পুলিশ পিছু হটছে। হেফাজতের কর্মীরা বায়তুল মোকাররমের উত্তরগেটে সীমানা প্রাচীরের মধ্যে রাখা দুটি মোটর সাইকেলে পুড়িয়ে দিয়েছে। এদিকে যোহরের নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে হেফাজত কর্মীদের বের হতে পুলিশ বাধা দিলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। মসজিদের দক্ষিণ গেট দিয়ে হেফাজত কর্র্মীরা লাঠি নিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধ দেয়। অন্যদিকে হেফাজত কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে পুলিশ পিছু হটে জিরো পয়েন্ট এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। সব শেষে পাওয়া খবরে জানা গেছে, পল্টনে পুলিশকে দুই দিক থেকে হেফাজত কর্মীরা ঘিরে রেখেছেন।