ঢাকা: সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হেফাজতে ইসলামের অনৈতিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার এ নির্বাচনকে ঘিরে অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের আইন-শৃঙ্খলা বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
রাজশাহী ও বরিশালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে বিষয়টি জানতে চায় নির্বাচন কমিশন।
সংশ্লিষ্ট রির্টার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইসিকে জানান, এ দুই সিটিতে হেফাজতে ইসলাম সরাসরি বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নেমেছে এবং সদ্য বিদায়ী মেয়রদের ধ্বংস কামনা করে সংবাদ সম্মেলনে দোয়া করেছে।
এ ঘটনাকে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে নির্বাচন কমিশন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার(সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বিষয়গুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের সতর্ক করে সচেতন থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, “ভবিষ্যতে কেউ কোনো প্রার্থীর ধ্বংস কামনা করলে ও নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত হয় এমন কাজ করলে তাকে কঠোর হাতে দমন করা হবে।”
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রশাসনকে হেফাজতে ইসলামের অনৈতিক কাজ বন্ধের জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাজশাহী মহানগরীর সাফাওয়াং কমিউনিটি সেন্টারে সম্মিলিত নাগরিক ফোরামের মেয়র পদপ্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে সমর্থন জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ১৮ দলীয় জোট।
সভার শুরুতেই কোরআন তেলাওয়াতের পর বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন ইসলামী ঐক্যজোটের রাজশাহী বিভাগীয় সভাপতি ও হেফাজতের রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আব্দুস সামাদ। যা খোদ বিএনপির নেতাকর্মীদেরই বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দেয়।
দোয়া পরিচালনার সময় তিনি সুকৌশলে শাপলা চত্বরে ‘নিহত’ হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এবং রাসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী বুলবুলকে বিজয়ী করতে সবার দোয়া কামনা করেন।
একই সঙ্গে তিনি আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামানকে অভিশাপ দেন বলে উপস্থিতরা অভিযোগ করেছেন।
মাওলানা আবদুস সামাদ দোয়ায় বলেন, “আমরা কোরআনের আইন চালু করতে চাই। আল্লাহ, ১৮ দলের মধ্যে মিল-মহব্বত পয়দা করে দাও। বিগত মেয়র ইসলামী জলসা করতে দেয়নি। কোরআনের কথা শোনেনি, আলেম-ওলামাদের টিটকারি করেছে। আল্লাহ তুমি তাকে ধ্বংস করে দাও। তাকে খতম করে দাও। সাবেক মেয়রকে পরাজিত করে দাও।”